ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারত চলে যায়। ৫ আগষ্টের সেই পট পরিবর্তনের পর দেশে পুলিশি কার্যক্রম পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
সেই সুযোগে বাড়তে অপরাধ। অভ্যুত্থান পরবর্তী গত কয়েক মাসে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা রকম অপরাধ ঘটে পুরো দেশ জুড়েই।
তবে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে আশংকা জনক হারে ছিনতাই এবং ছিনতাই পরবর্তী হত্যাকান্ড বেড়ে যায়। বেশ কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য ঘটনাও ঘটে নারায়ণগঞ্জে। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত গত ১২ ডিসেম্বর বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র সিমান্ত হত্যার ঘটনাটি। এছাড়াও ডাকাতি, চুরির ঘটনাও আশংকা জনক হারে বেড়েছে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে র্যাব সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নারাণয়গঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-১১ সম্প্রতি রোবাস্ট পেট্রোল কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে।
সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার অংশ হিসেবে র্যাব-১১ এর আওতাধীন এলাকায় পর্যাপ্ত টহল মোতায়েন রাখা হয়েছে।
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জের চিটাগাংরোড, সাইনবোর্ড, কাঁচপুর ব্রীজ, ভুলতা-গাউছিয়া, মেঘনা ব্রীজ, সোনারগাঁ, এলাকায়সহ সাতটি জেলায় (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর) নিয়মিত রোবাস্ট পেট্রোল পরিচালনা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। র্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদর বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।