সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে প্রায় এক সপ্তাহ পর সীমিত পরিসরে থানা পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জেলার সাতটি থানার মধ্যে ইতিমধ্যে সদর থানাসহ পাঁচটি থানায় কর্মকর্তা ও সদস্যরা যোগদান করেছেন।
রবিবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, বন্দর, সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জ থানায় ওসি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা এবং সদস্যরা কর্মস্থলে যোগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন।
তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দূর্বৃত্তরা সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে ভবনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ফলে অবকাঠামোগত পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এই দুই থানায় পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয় নি। তবে এখনও পুলিশের মধ্যে আতংক ও ভীতি থাকায় পাঁচটি থানায় তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা।
রবিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে সদর মডেল থানায় গিয়ে ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফারহানা মানিক মুনাসহ কয়েকজন সহকর্মী। এসময় থানা পুলিশকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আইনশৃংখলা রক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুরোধ জানান ফারহানা মানিক মুনা।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: আমীর খসরু বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলার সবগুলো থানাসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি ফাঁড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিশেষ করে সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানার ভবন আগুন দিয়ে একেবারেই পুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
তবে আজ রবিবার থেকে সদর থানা সহ পাঁচটি থানায় পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অফিসার ও সদস্যরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে। আপাতত সীমিত পরিসরে আমাদের কার্যক্রম।শুরু হয়েছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে আমাদের সবার সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে"।
এর আগে গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে প্রায় এক সপ্তাহ যাবত থানা পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ফলে পাড়া মহল্লাগুলোতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক হামলা সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে যায়। আতংকিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন সর্বস্তরের মানুষ। তবে আজ থেকে থানা পুলিশের কার্যক্রম চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।