বৃষ্টি নেই তবুও বছরের বেশীর ভাগ সময় হাটু পানি দিয়ে চলতে হয় ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকার বিসিকের একমাত্র সড়কটি দিয়ে। এই সড়কটিতে বছরের বার মাসই পানি জমে থাকে।
তারপরও শিল্প নগরীর এই সড়কটি সংস্কারে কারো মাথা ব্যথা নেই। এদিকে বিসিক শিল্প নগরী থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও এই সড়কটি সংস্কারে কারো উদ্যেগ নেই মনে করেন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ এই সড়কটি দিয়ে বছরের বেশীর ভাগ সময় পানি জমে থাকে। আর এই জমে থাকা কালো কুচকুচে পানিতে চলতে গিয়ে অনেকে দূর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়াও অনেক সময় এই পানি দিয়ে যেতে গিয়ে কাপড় চোপড় ভিজে যায়। আর এই ভিজা কাপড় পড়েই কাজে বসতে হয়।
শ্রমিকরা জানায়, পশ্চিম মাসদাইর বিসিক শিল্প নগরীর এই প্রবেশ পথে হাটু পানি জমে থাকে। এই পানির নিচে মাঝে মাঝে আবার বড় বড় গর্তও রয়েছে। একেকটি গর্ত যেন একেকটি মরণফাঁদ। অনেক সময় এই মরণফাঁদের সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলতে গিয়ে দূর্ঘটনায় পড়তে হয়।
বিসিক এ্যাবলুম লিমিটেডের গার্মেন্টস শ্রমিক আনোয়ার হোসেন জানায়, জমে থাকা রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে শ্রমিকদের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। নর্দমার ময়লা কাদাযুক্ত পানি দিয়ে চলতে হয় তাদের। বিশেষ করে মহিলাদের কষ্টের সীমা থাকে না।
গার্মেন্টস শ্রমিক আয়শা আক্তার জানায়, অধিকাংশ শ্রমিক মাসদাইর এলাকায় বসবাস করে। কিন্তু কাজের সুবাদে আমাদের এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন চারবার আসা যাওয়া করতে হয়। প্রতিবারই এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে পরনে কাপড় ভিজে যায়। কিন্তু সামনের দিন গুলোতে আরো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে তখন আমরা কিভাবে যামু।
পশ্চিম মাসদাইর এলাকার সোলাইমান মিয়া বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই এই সড়টিতে পানি জমে থাকে। কিন্তু অনেক রাস্তা সংস্কার হলেও এই সড়কটি সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসছেন না।
এই সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার আসাদুজ্জামানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ও এই সড়কটি সংস্কারে তিনি এগিয়ে আসেননি।
এমতাবস্থায় এই সড়কটি সংস্কার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে পশ্চিম মাসদাইর এলাকাবাসি ও বিসিক শিল্প নগরীর খেটে খাওয়া মানুষ চার আসনের সংসদ শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।