টানা ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শেষে পবিত্র ঈদুল আযহা বিবেচনায় সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে গেছে। লকডাউন শিথীল করায় জেলায় পূর্বের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন ও মার্কেটগুলো চালু হওয়ায় সকাল থেকে নগরীর সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে থেমে থেমে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে আবার শুরু হয়েছে মানুষের নানা ভোগান্তি। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বাস কাউন্টারগুলোতে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড, নারায়ণগঞ্জ-পাগলা-ঢাকা পুরাতন সড়ক, নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-চিটাগাং রোড সড়কেও যানজট।
অন্যদিকে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে শুরু হয়ে গেছে ঈদের কেনাকাটা। যে কারণে সকাল থেকেই ভীড় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। আইন শৃংখলা বাহিনীর চেকপোস্টগুলো তুলে দেয়ায় নিয়ম শৃংখলা মানছেন না কেউই। মাস্ক ছাড়াই মানুষ রাস্তায় অবাধে চলাচল করছেন। অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই করোনাভীতি দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। জেলা সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নগরীর খানপুরে করোনা ডেডিগেটের হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ৮৭ জন রোগি ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আইসিউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ জন।
দেশে করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথীল করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে লকডাউনের পক্ষের মানুষের সংখ্যাই বেশি। অনেকেই বলছেন, সরকারের উচিত পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া।