ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়েছে নারায়ণগঞ্জের কাঁচাবাজার গুলোতে। বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। আর আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস, ডিমসহ অন্যান্য পণ্য। এ কারণে ক্রেতারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছেন।
আর বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে দাম বেড়ে গেছে। মঙ্গলবার ( ২৮ মে ) নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান কাঁচাবাজার দিগুবাবুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে সব ধরনের সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ প্রতি কেজি ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ মানভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৩০০-১৮০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪৫০-৫৫০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৯০০- ১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৬০-৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১০০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬৫০-৭০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০- ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা, কক মুরগি ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা, গরুর মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির লাল ডিম ১৫০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৪৫ টাকা প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১২০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১১৫ টাকা, ডাবলি ৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৩৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দিগুবাবুর বাজারে মাসুদ রানা নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এমন কোনো সবজি নেই যার দাম বাড়েনি। বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে। কোন অজুহাতে দাম বাড়ানো যায় ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ খোঁজে। ঠিকমতো বাজার মনিটরিং না হওয়ায় ঐ ব্যবসায়ীরা যা খুশি তাই করে।
সোহেল মিয়া নামের আরেক এক ক্রেতা বলেন, বৃষ্টি থাকলে দাম কিছুটা বাড়ে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাড়ারও একটা সীমা আছে। কী আর করা। দাম যতই হোক খেয়েতো বাঁচতে হবে। এজন্য কম কম করে কিনেছি।
এদিকে দিগুবাবুর বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, দামবৃদ্ধির পেছনে আমাদের হাত নেই। বৃষ্টির কারণে বাজারে সরবরাহ কম। ফলে দাম বেড়ে গেছে। সোমবার সারাদিন বৃষ্টি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক ফসল তুলতে পারেনি।
সে কারণে ঢাকায়ও ঠিকমতো সরবরাহ হয়নি। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের বাজার সবজির দামই বেড়ে গেছে। বৃষ্টি কমে গেলে দুই-একদিনের মধ্যে সবজি সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে।