নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সপ্তাহের বাজার পরিক্রমা, নারায়ণগঞ্জ নগরীরর বাজারের হালচাল

সবজিতে স্বস্তি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি, চড়া ডিমের দাম

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:৪৫, ২৪ মে ২০২৪

সবজিতে স্বস্তি, কাঁচা মরিচের ডাবল সেঞ্চুরি, চড়া ডিমের দাম

নারায়ণগঞ্জ নগরীর বাজার গুলোতে কমেছে সবজির দাম। খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। সবজির দাম কমলেও এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগির ডিম। ফার্মের লাল ডিম ১৫০ টাকা ডজনে বিক্রি হচ্ছে। 

মাঝে দাম কিছুটা কমলেও আবার তা বেড়েছে। তীব্র গরমে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের। আর মাছ ও মাংসের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। 

আর সরবরাহ ও উৎপাদন কম থাকার অজুহাতে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।

শুক্রবার (২৪ মে) নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি বাজার দিগুবাবুর বাজারসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুদি বাজারে পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কিছু কিছু কাঁচা সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়,  কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০ ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা, টমেটো ৭০, চিচিঙ্গা ৬০, শশা ৬০, বরবটি ৮০, ঢেড়শ ৩০, পটল ৬০, কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা আম ৮০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, আদা ২৪০, রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৮০০টাকা, চাষের পাঙাস কেজি ২০০ থেকে ২২০টাকা, তেলাপিয়া ২২০, মাঝারি সাইজের রুই ৩৫০, ছোট সাইজের ২০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা  মানভেদে ৪৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংসের কেজি ১১০০ টাকা, সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

ডিম ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের জানান, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।  

দিগুবাবুর কাঁচাবাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী অপূর্ব আহমেদ জানান, গত বছর কুরবানির আগে কাঁচামরিচের দাম ৬০০ হয়েছিলো। এবার সেই পালা দেখতেছি।

আমি গত কয়েকদিন আগে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কাঁচামরিচ নিয়েছিলাম। আজকে দেখি ২০০ থেকে ২২০ টাকা চাচ্ছে। আর অন্যান্য সবজির দামও বাড়তি। কি কারার আছে, এখন চাহিদা তুলনায় কম নিচ্ছি।

দিগুবাবুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা কায়সার মিয়া জানান, এ সপ্তাহের কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বাড়ছে। যার জন্য আমরাও কম আনছি। ক্রেতারাও কম নিচ্ছে।

আগে যারা ৫০০ গ্রাম নিত এখন তারা ১০০ গ্রাম নিচ্ছে। আমাদের এখানে কোন হাত নেই। আমার যে দামে ক্রয় করি কিছু লাভ করে বিক্রি করি। তবে কাঁচামরিচের দাম আরও বাড়তে পারে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: