নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য জানা যায়৷
সংগঠনের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুব স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷ ৪ জানুয়ারি রাতে এই বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করা হয়। এরআগে রোববার (২ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
এরও আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে তৈমূর আলমকে সরিয়ে জেলা বিএনপির এক নাম্বার যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক করা হয়।
এদিকে বিএনপি একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সময়ে তৈমূরকে এ নিয়ে ৩টি পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার বিষয়টি একটি কৌশল মাত্র। নির্বাচনের পর তৈমূর তার স্ব স্ব পদে ফিরে যাবেন। তৈমূর আলম যাতে ফ্রি এন্ড ফেয়ার ভাবে দলীয় ও সাংগঠনিক চাপ মুক্ত থেকে নির্বাচন করতে পারে।
তাছাড়া যেহেতু বিএনপি বলে আসছে এই সরকারের আমলে তারা আর কোন নির্বাচনে অংশ নিবে না। সেখানে বিএনপির ব্যানারে তৈমূর নির্বাচনী মাঠে থাকলে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নের সম্মুখিন হবে বিএনপি। তাই তৈমূরকে বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আরেক দফা বোকা বানালো প্রতিপক্ষকে।
প্রসঙ্গত, সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীকে মেয়র পদে লড়ছেন তৈমুর আলম খন্দকার৷ ২০১১ সালে দলের নির্দেশে সিটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি৷ ওইবার ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বিজয়ী হন৷ এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন৷ তার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তৈমুর আলমসহ আরও ৫ প্রার্থী৷