
নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন নিয়ে বিবাদের মীমাংসা ও দোষীদের বিচারের আগে জেলায় সংগঠনটির সব কার্যক্রম বয়কটের ডাক দিয়েছে একাংশের আলেমরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল আউয়ালসহ জেলার আলেমদের একটি অংশ এ ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের জেলা ও মহানগর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সাব-কমিটির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী আল্লামা আব্দুল আউয়াল সাহেবের তত্ত্বাবধানে, নারায়ণগঞ্জের শীর্ষস্থানীয় তিন শতাধিক উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী দলগুলোর নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এবং সর্বসম্মতিক্রমে কমিটির একটি প্রস্তাবনা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু উক্ত প্রস্তাবনাকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করে ও শীর্ষস্থানীয় আলেমদের পাশ কাটিয়ে গুটিকয়েক লোক একটি পকেট কমিটি ঘোষণা করে। যা শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন।
ফলে হেফাজত মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান উক্ত বিতর্কিত কমিটিকে স্থগিত করেন ও নারায়ণগঞ্জে এসে বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু একটি মহল এখনো নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য বিতর্কিত কমিটির পদবি ব্যবহার করে হেফাজতের মানকে ক্ষুন্ন করছে।
তারা বলেন, আগামী ২৫ এপ্রিল হেফাজতের নামে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় একটি গণজমায়েতের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই-বিবদমান বিষয়ে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমরা নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের নামে কোনো সমাবেশ বা জমায়েত দেখতে চাই না। কোনো পক্ষ এ জাতীয় কার্যক্রম চালালে আমরা সম্মিলিতভাবে তা বয়কট করবো।
নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতী জাকির হোসাইন কাসেমী বলেন, কতিপয় বিতর্কিত নেতাদের কারণে হেফাজতের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। অতীতে কিছু মানুষ মুরুব্বীদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। কেন্দ্র থেকে মুরুব্বিরা এসে এটা সমাধান করার কথা।
এই সমাধান ব্যতীত নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের নামে কোনো কর্মসূচি সভা সমাবেশ করা ঠিক হবে না। এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বিবৃতি দাতাদের মধ্যে রয়েছেন- হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ডিআইটি মসজিদের খতিব আল্লামা আব্দুল আউয়াল, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও আমলাপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কাদির, দেওভোগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, আলীরটেক মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুফিজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন, মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসাইন ও খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি প্রমুখ।