
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ওসমান পরিবারের সমালোচনা করে বলেন, নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদে তৈরি করেছিল ওসমান পরিবার। এই ওসমান পরিবারের হাত থেকে কোন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ কিন্তু নিরাপদ ছিল না।
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা যেই অত্যাচার করেছে, বিশেষ করে শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়া মানুষকে অত্যাচারিত করেছে।
আর শামীম ওসমানের ক্যাডার মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজাম মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানিও নির্যাতিত করেছিল। আমরা কিন্তু নারায়ণগঞ্জের উল্লেখিত কোন সন্ত্রাসীকে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হতে দেখিনি।
প্রশাসনকে আমরা বলতে চাই অতি দ্রুত এ সকল সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে। শামীম ওসমান নিজেও কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের সভায় নির্ভয় ছাত্রদের উপর নিবিড়ভাবে অস্ত্র হাতে গুলি চালিয়েছিল। এই সকল কিমিনালরা কিভাবে বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে গেল এটাও কিন্তু বিশাল একটি রহস্য বিষয়।
এই সকল সন্ত্রাসীদের অন্যান্য যারা দোষরা আছে যারা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে আমি নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে আহবান করছি। আর বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে এরকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেউ করতে পারবে না।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেলে শহরের কিল্লারপুলস্থ বিবি মরিয়ম স্কুল মাঠে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ উপলক্ষ্যে গরীব ও অসহায়দের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী এবং শাড়ি ,লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আব্দুল মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, বিএনপি তথা অঙ্গ সংগঠনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কাউকে কোন প্রকার প্রবেশের সুযোগ দেয় যে চিহ্নিত হবে তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কারো ক্ষমা নেই। আওয়ামী লীগের কোনো অনুপ্রবেশকারীকে কোনো অবস্থাতে সুযোগ দেওয়া যাবে না।
কেউ যদি গোপনে অন্যায়ভাবে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা করতে চায় তারা অবশ্যই চিহ্নিত হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর জনগণের কষ্ট হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। এটা আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি। জনগণের জন্য রাজনীতি, জনগণের জন্যেই কাজ করতে হবে।
ত্বকী হত্যাকান্ড নিয়ে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জেন মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার বিচার এখনো হয়নি। এ হত্যাকান্ডের সাথে ওসমান পরিবারের সদস্যরা জড়িত রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। অবিলম্বে মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত মহানগর যুবদল কর্মী স্বজনের হত্যার বিচার এবং জেলা যুবদল কর্মী শাওন হত্যার বিচার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি'র চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন। যেখানেই দুর্ঘটনা ঘটছে সেখানেই যোগাযোগ রাখছেন, তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন।
আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি চলছে এমনটি থাকবে না। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে, তিনি কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করে কেউ পার পাবে না। কোনো অন্যায়কারী পার পাবে না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।