নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

২১ জানুয়ারি ২০২৫

জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সর্বাধিনায়কও : মামুন মাহমুদ 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:০২:৩৩, ২০ জানুয়ারি ২০২৫

জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই নন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সর্বাধিনায়কও : মামুন মাহমুদ 

বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭১ এর ২৬মার্চ স্বাধীনতার ঘোষনা করে ১২ই এপ্রিল এজে ওসমানী স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মেজর জিয়াউর রহমানই ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সর্বাধিনায়ক।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।  

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগরে একটি পার্টি সেণ্টারে অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নিজ উদ্যোগে   এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।   

এ সময় অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আরও বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা।

দেশকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়, কিভাবে দেশ প্রেমিক হতে হয়, তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেখিয়ে গেছেন। দেশের ক্লান্তিলগ্নে বারবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার দাঁড়িয়েছে। 

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধেও জিয়াউর রহমানই দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর দেশ যতবার সংকটে পড়েছে জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে, যত স্বৈরাশাসক তৈরি হয়েছে, তাদের পতনেও জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেও জিয়া পরিবার দাঁড়িয়েছে।

তাই বিএনপির যারা জিয়ার আদর্শ বিশ্বাস করেন, তারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। স্বৈরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিয়ে কেউ নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। যারা স্বৈরাচারের দোসরদের আশ্রয় দিবে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। যারা স্বৈরাচারদের আশ্রয় দিবে তাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। 

তিনি বলেন, সেনা বাহিনীতে বিদ্রোহ করলে কি পরিণতি হয়, তা জেনেও জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। পাকিস্তান সরকার যেন যে যুদ্ধকে সেনা বিদ্রোহ বলে দমন করার সুযোগ না পায়, তাই যুদ্ধকে সামরিক ও রাজনৈতিক রূপ দিয়ে সারাবিশে^র স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য, নিজের চিন্তা চেতনা থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করার পরামর্শ দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সৎভাবে জীবন যাপন করা সবচেয়ে উত্তম। অবৈধ পথে কেউ অর্থ কামিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করার চেষ্টা করবেন না। 

তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আবু সাঈদ যেভাবে রাজপথে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক টান করে দাঁড়িয়ে পড়ে ছিলেন, ঠিক ৭১ সালেও জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ প্রকৃত সত্য গোপন করে তাদের মনগড়া ইতিহাস লিখেছে। জিয়াউর রহমানকে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

জিয়ার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ কাউকে তার প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেন না। বিএনপিকে ভেঙে দেয়ার জন্য স্বৈরাচার হাসিনা সরকার বিনা কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাবন্দি করে রেখেছে তাকে চিকিংসাও পর্যন্ত করতে দেয়নি।

আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে, দেশবাসী সকালের মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে উপস্থিতিদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।