নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে যে ঝাকুনি দিয়েছে সেই ঝাকুনিতে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে তার নির্দিষ্ট স্থান ভারতে গিয়ে পালিয়েছে ।
আমরা কি বিগত ১৫ বছর ভালো ছিলাম। আমরা দেখেছি গডফাদার শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও তার দোসরা এই বন্দর এলাকায় নিরীহ মানুষের উপর স্টীম রোলার চালিয়েছে।
তারা নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার করে জায়গা সম্পত্তি থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যবর দখল করে রেখেছিল। এই ফেরাজী কান্দার জাতীয় পার্টির এক নেতা রাইসুল চেয়ারম্যানের ছেলেকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছিল আজমির ওসমান ও তার দোসররা। সেইদিন রাইসুল ইসলামের পরিবার থানায় মামলাটি করতে পর্যন্ত পারিনি।
তারা পুলিশ প্রশাসন থেকে করে সকল ক্ষেত্রে বিস্তার করে নারায়ণগঞ্জে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছিল। নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নাই। সন্ত্রাসীরা নারায়ণগঞ্জে হত্যাগুম খুন করেছে। গডফাদার শামীম ওসমানসহ সকল সন্ত্রাসীদেরকে নারায়গণঞ্জের মাটিতে এনে বিচার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট এর আগে আপনারা দেখেছেন শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ শহরে কিভাবে অস্ত্রের হয়েছে। তারা রাস্তায় গুলি করে নারায়ণগঞ্জ ৩৫ থেকে ৪০ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে।
তারা নিজেদেরকে হিন্দু সম্পদের অন্তত কাছের লোক হিসাবে মনে করেন। অথচ ৫ তারিখের আগে রিয়া গোপ নামের শিশু সন্তান জানালা দিকে তাকিয়ে তাদের অস্তের মহড়া দেখছিল সেই সময় তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
এই সন্ত্রাসীদের বিচার যদি আপনারা যান তাহলে এই বন্দর তথা নারায়ণগঞ্জবাসীকে এ সকল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হিসাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমাদের দল বিএনপি জনগণের দল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করে ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশী হিসাবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ লিটন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, সহ-সভাপতি মো. দিদার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খন্দকার, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সিনিয়র সহ-সভাপতি সিনিয়র বাবুল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন রাজিব।