নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আজকের দেশে অন্তবর্তী সরকার এসেছে। এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা ছিল অন্তবর্তী সরকার অতি দ্রুত একটি নির্বাচন দিয়ে এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তাকে তাই সরকার গঠনের দায়িত্ব দিবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সরকার সংস্কার সংস্কার বলে আজকে নির্বাচনকে নিয়ে সময় খেপন করছে। কিন্তু আমরা একটি কথা বলতে চাই এই সংস্কার সংস্কার কিন্তু আজ থেকে না। এই সংখ্যার শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সাল থেকেই। এদেশের প্রথম সংস্কার শুরু করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর ২১নং ওয়ার্ড ও ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে পৃথক পৃথক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যখন প্রথম ক্ষমতায় এসে এই সংস্কার করেন। এরপর আমাদের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে দ্বিতীয়বার দেশ সংস্কার করেন। আর তাদের এই উত্তরসূরী আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই তৃতীয় দফায় নতুন করে দেশকে সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এই সংস্কারের মাধ্যমে তিনি দেশকে আবার নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ধারাবাহিকতায় ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। আমরা তারেক রহমানের সেই ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠমো মেরামতের বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার জন্য এসেছি। আপনারা এই ৩১ দফা বইটি পড়বেন এবং এর সম্পর্কে মতামত পোষণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৮ হাজার মাইল দূরে সুদর প্রবাসে থেকোও গত ১৭ টি বছর এই ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছিল।
শুধু তাই নয় তিনি এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমাদের সবাইকে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা ওনার নির্দেশনায় রাজপথের থেকে গতে পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, নাজমুল হক, সোহেল খান বাবু, বন্দর ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলী, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম স্বপন, বন্দর ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শিবু দাস, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বেপারী, যুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, মিনহাজ মিঠুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।