নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সাথে দেখা গেলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সহযোগী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামি মীর শহিদুল আলম'কে।
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) কুতুবপুর ইউনিয়নে একটি প্রোগ্রামের মঞ্চে ফার্মগেট থানা আওয়ামী লীগ নেতা মীর শহিদুল আলমের সাথে দেখা যায় গিয়াস উদ্দিনকে। সেই প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মীর শহিদুল আলম ও গিয়াস উদ্দিন ক্যামেরা বন্দী হয়ে যান পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে সেই ছবি।
এমন একজন আওয়ামী লীগের দোসর মীর শহিদুল আলমের সাথে গিয়াস উদ্দিন'কে দেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
একটি বিশেষ সুত্রে জানা যায়, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তার দল ভারী করার জন্য প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে চলাফেরা করতেন। দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে না-থাকায় গিয়াস উদ্দিনের তৃণমূলের মাঠ পর্যায়ে কোনো নেতাকর্মী ছিলো না।
তাই সে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিজের দলে ডাকতেন এবং তাদের দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেন। এধরণের বহু অভিযোগ রয়েছে গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে, অভিযোগের উপর অভিযোগ পড়তে পড়তে কেন্দ্র পযন্ত গিয়ে পৌঁছে যায়, যার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফার্মগেট থানা আওয়ামী লীগ নেতা মীর শহিদুল আলম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সহযোগী ছিলেন। মীর শহিদুল আলম ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
তার নামে সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা ও ফার্মগেট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার হত্যা মামলার এফআইআর নং-২৭, জি আর নং-৩৬০।