নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আমরা ছাত্র- জনতার আন্দোলনে রাজপথে ছিলাম। দেশের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হোক আমরা সমস্ত ষড়যন্ত্র রুখে দিবো ইনশাল্লাহ।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাং রোড সড়কে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ভারত সীমান্ত অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলে ‘লংমার্চ’কে স্বাগত জানানোর জন্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে যুবদলের নেতা-কর্মীরা সড়কের একপাশে হাজার হাজার মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান করেন। এসময়ে বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি। হাসিনা পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দেওয়ার জন্যই আজকে যুব সমাজ, ছাত্রসমাজ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা আজকে আমরা লংমার্চের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই যে আমরা জাগ্রত আছি। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই। এবং বাংলাদেশের মাটিতে শেখ হাসিনার বিচার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা টু আখাউড়া যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চকে স্বাগত জানানোর জন্য হাজার হাজার যুবতলের নেতাকর্মীরা সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থান নিয়েছে এবং আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে অর্ধশতাধিক মাইক্রোবাস সহকারে আমরা লংমার্চের বহরের অংশগ্রহণ করেছি।
পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় রয়েছে। আমরা লংমার্চের মাধ্যমে দেশবিরোধী সকল অপশক্তিকে ম্যাসেজ দিতে চাই। যারাই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল তাদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে।
পরে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে লংমার্চের গাড়িবহর সড়কপথে সাইনবোর্ড পৌঁছালে সাথে সাথে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্বাগত জানানো শুরু করে এবং গাড়িবহরে অংশগ্রহণ করেন।
এসময়ে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাং রোড সড়কের একপাশে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে লংমার্চে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মী ও গাড়িবহরকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, মহানগর যুুুুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, সাজ্জাদ হোসেন কমল, আশিকুর রহমান অনি, মো. এরশাদ, কামরুল হাসান, অদুদ সাগর, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজন, জুনায়েদ মোল্লা, মানিক বেপারী, মো.বাবুল মিয়া, মো. বাদশা, মো. শাকিল, শাহীন শরীফ, আরিফ খান, পলাশ বেপারী, সজিব আহমেদ, আঃ রহমান, শাহজালাল কালু, আঃ হাকিম, রেজাউল করিম রেজা, মো. হারুন, মো. নুরুজ্জামান, মো. বাদশা, জহিরুল ইসলাম হারুন, মঞ্জু হোসেন, আরিফ চৌধুরী, আরিফ সাউদ, আঃ কাদির, সোহেল প্রধান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, মাহাবুব আলম, মো. সফিক, জাহিদ, মন্টু, শরীফুর রহমান, সাকিল, সুলতান, আরিফ, মাসুদ রানা, জিসান, মিন্টু, রমজান, সাকিল, মিরাজ, রাকিবুল ইসলাম, সামিম, কাউসার আহমেদ, আবদুল হামিদ পলাশ, মো. শাহরিয়ার, আঃ হাকিম, ইব্রাহীম, মো. জামান, সজিব, নিজাম উদ্দিন, সাগর মুন্সী প্রমুখ।