নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের চারটি ইউনিট কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল হচ্ছে তাদের মূল শক্তি। বিগত সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশের হামলা মামলা উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা।
দলীয় পদ পদবী ছাড়াই শুধুমাত্র শহীদ জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দলকে ভালোবেসে জীবনের মায়া ত্যাগ করে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার ও তাদের দোসর পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মতে মহানগর যুবদলের "পাওয়ার হাউস" হলো সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল।
সূত্রে প্রকাশ, বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে সরকার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা। হরতাল অবরোধ থেকে শুরু করে মিটিং মিছিলের যে কোনো কর্মসূচিতে ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে শোডাউন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল অথচ দীর্ঘদিন তাদের কোনো কমিটি নেই।
পদ পদবী ছাড়াই তারা সরকারী দল ও পুলিশের সাথে নিয়মিত লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। মামলা হামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন আর পরিবার পরিজন ছেড়ে পালিয়ে যাযাবর জীবন যাপন করেছেন যে দলের জন্যে সেই দলেই নেই তাদের কোনো পরিচয়।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের ব্যানারে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল সহকারে প্রতিটি কর্মসূচিতেই উপস্থিত থাকেন সহিদুল ইসলাম, আরমান হোসেন, শাহজালাল কালু, মঞ্জুরুল আলম মুসা, শেখ অপু, সফিকুর রহমান, আশিকুর রহমান অনিসহ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে আসা যাওয়া ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা, মামলা হামলায় আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে সহযোগিতা করার কাজগুলোও তারা করে গেছেন নিয়মিত কিন্তু এতো কিছু করেও তারা কমিটির দেখা পাননি। দিনের পর দিন মহানগর কমিটির পিছনে ঘুরেও পদ পদবী মিলেনি তাদের।
যারাই মহানগরের দায়িত্বে আসেন তারাই ইউনিট কমিটি নিয়ে গড়িমসি করেন। তাই কমিটির স্বপ্ন তাদের আর পূরণ হয়না। তবুও তারা রাজপথে থাকেন, আন্দোলন সংগ্রামের ডাক এলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন পদ পদবীর চিন্তা করেন না।
সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আওতায় রয়েছে সদর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এবং বন্দর উপজেলা ইউনিট। রয়েছে পাঁচটি ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি। এতগুলো কমিটির মধ্যে মাত্র দুটি ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা করেছে বর্তমান মহানগর কমিটির নেতারা। বাকি ইউনিটগুলোতে দীর্ঘদিন কোনো কমিটি নেই।
মহানগর যুবদলের কমিটিতে বারবার রদবদল হলেও এসব ইউনিট কমিটির পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মনের আশা আর পূরণ হয়না। অনেক নেতাকর্মী হতাশ হয়ে যুবদলের রাজনীতি ছেড়ে বিএনপির মূল দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন।
বাকি যারা দীর্ঘদিন যাবত একটি রাজনৈতিক পরিচয়ের আশায় রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাদের সকলের একটাই দাবি আর তাহলো যত দ্রুত সম্ভব ইউনিট কমিটিগুলো গঠন করে সংগঠনকে আরো গতিশীল করা এবং দীর্ঘদিনের কমিটি খড়া ঘুচিয়ে তৃণমূলের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দেয়া।