বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন মাহমুদ বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদের এই সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। যারা এই ছাত্রদের হত্যা করেছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি স্কুল মাঠে আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও হানাহানির প্রতিবাদে বিশাল শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্টের পরেও ওই আওয়ামীলীগের কিছু দোসর আমাদের মাঝে লুকিয়ে আছে। অনেকের নামে মামলা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।
আমরা এই সমাবেশ থেকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটেরা, আমাদের যারা বাড়ি থাকতে দেয়নি, মা বোনকে শান্তি দেয়নি তাদের বিচার এই মাটিতেই করতে হবে। আওয়ামী দোসররা এই বাংলার মানুষকে খুবলে খুবলে খেয়েছে। তারা সিভিল প্রশাসন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, সংবিধানকে ধ্বংস করেছে। এইগুলো সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। যা আমাদের ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সনদ, দেশ গড়ার সনদ, বৈষম্য দূর করার সনদ। এই সনদে কৃষক, কামার, কুমার, ছাত্র, শ্রমিকের কথা বলা আছে। আর যেনো এই লুটপাট সন্ত্রাসী না হয়, সেজন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান এই সনদ দিয়েছেন তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এই নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনকে ধানের শীষকে জয়ী করতে হবে।
এই আসনটি সৌভাগ্যের আসন। এই আসনে যে দল জিতে সে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসে। আপনার পাশে এই আসনের জনগন রয়েছে। আপনার জন্য এ আসনের জনগন জীবন দিতেও প্রস্তুত। কারা আন্দোলন সংগ্রামে ছিল, আর কারা লুকিয়ে ছিল, কারা সক্রিয় আর চাঁদাবাজি লুটপাট করেছে তা তারেক রহমান জানেন।
লুটপাটকারীরা ভালো হয়ে যান। সব তারেক রহমান জানেন। আপনারা ছাড় পাবেন না। আমরা চাই না আর কোন গডফাদারের জন্ম হোক, এই জেলায় সেভেন, ফাইভ মার্ডার হয়েছে। আমরা চাইনা আর কোন অপরাধ হোক, আর কোন গডফাদারের জন্ম হোক।
তিনি বলেন, এই দল আমাদের। এই দলকে জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবেসেছি। রক্ত দিয়েছি, কারাবরণ করেছি। আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই, দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে এবং করবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি মানে জনগনের সরকার। ব্যবসায়ীরা শান্তিতে ব্যবসা করে, মানুষ ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দব্য কিনতে পারে। সামাজিক সুরক্ষা থাকে, আইনের শাসন থাকে। নৃগোষ্টির মানুষও অধিকার পায়।
৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভুইয়া, থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক আয়েশা আক্তার দিনা, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি মোসলেহা কামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল কবির মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক নাদিম হাসান মিঠু, সাবেক কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন,মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল রানাসহ সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অংগসংগঠনের বিভিন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাবেক সাধারন সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ান, মাসুদুর রহমান, ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান ও ইভান ইমতিয়াজ।