নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, শ্রমিক জনতাই কিন্তু বিগত ১৬টি বছর ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল। এই আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অনেক শ্রমিক নিহত হয়েছে, রক্ত দিয়েছে এবং হামলা মামলা শিকার হয়ে জেল খেটেছে।
শ্রমিক দলের রাজনীতি করার অপরাধে সেই সময় তাদেরকে বিভিন্ন সেক্টর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নির্যাতিত করা হয়েছিল। আজকে কিন্তু আর সেই অবস্থা নাই গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দুই হাজার ছাত্র শ্রমিক জনতা রক্তের বিনিময়ে এদেশে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে আমাদেরকে এদেশে মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে র্যালি পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে শহরে বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের অঙ্গীকার হলো এদেশ থেকে স্বৈরাচারী সরকারকে বিতাড়িত করা। দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তারই জন্য কিন্তু এই অন্তবতী কালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। অন্তবর্তী কালীন সরকারের সকল বৈধ কার্যক্রমের সাথে আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
যারা এদেশের ছাত্র জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে তারা কিন্তু এখনো দেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে ফেরা করছে। যদিও শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে কিন্তু তার দোসরা কিন্তু এখনও রয়ে গেছে। যারা দেশে থেকে এখনো দেশকে একটি অস্থিশীল পরিবেশ তৈরি করার পায়তারা করছে সেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ একসময় গডফাদারের নারায়ণগঞ্জ ছিলো, সন্ত্রাসের নারায়ণগঞ্জ ছিলো। আর এই নারায়ণগঞ্জকে যারা সন্ত্রাসের জনপদ হিসাবে কালো তালিকা তৈরি করেছে সেই শামীম ওসমান ও তার দোসরদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
সন্ত্রাসের জনপদ থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে বের হয়ে আসতে হবে। বোরকা পড়া সেই শামীম ওসমান যে নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি সেক্টরকে কুষ্টিগত করে লুটেপুটে খেয়েছে। বিএনপি'র কোন নেতাকর্মী কিন্তু কোন ধরনের এই সকল কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না।
যারা ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসা করছেন কেউ বলতে পারবে না যে বিএনপির কোন নেতাকর্মী তাদের কাছ থেকে চাঁদা চেয়েছে। যদি কেউ বিএনপির নাম বিক্রি করে ধরেন কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব এবং তাদেরকে ধরে প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এসএম আসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মাহবুল্লাহ তপন, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হাই রিঙ্কু, জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক লিটন মিয়া, মো: সেলিম, সদস্য আ: মতিন ভূইয়া, বিল্লাল হোসেন, আল আমিন, জামাল, অলিক, আজিম সরদার, মানিক, শাহীন, জাহাঙ্গিরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।