নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দিয়ে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
আজকে তারাই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানের নির্দেশনা কিন্তু আমরা এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। সুতরাং আমি যুবদলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই ফ্যাসিস খুনি হাসিনা গত ১৬টি বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে এবং দেশের স্বাধীনতাকে প্রকৃত করেছে।
খুনি হাসিনা স্বাধীনতার ঘোষক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম এদেশ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তাই আজকে থেকে আপনারা শপথ গ্রহণ করবেন আগামী প্রজন্মকে আপনার বলবেন এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তিনি আদিবাতের হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করেছিলেন।
জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি মাধ্যমে এদেশকে একটি উন্ন য়নশীল রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। আর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়নের মাধ্যমে কিভাবে একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন করা যায়।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বিশাল বর্ণাঢ্য র্যালি পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের যে সকল সরকারি দলের দালালরা গত সরকারের দলের শেল্ডারে থেকে উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন এখন তারাই আবার ষড়যন্ত্র করে সন্ত্রাসী ভাষায় কথা বলছে। তাদেরকে একটি কথা বলতে চাই আপনাদেরকে জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের মানুষ মহানগর যুবদলের যথেষ্ট।
কারণ যুবদল অতীত ও রাজপথে ছিল এখনও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব মুখ সামলিয়ে কথা বলবেন নিজের ঘরের সামনে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে। আগামীতে মহানগর বিএনপি যুবদল ও সকল মিলে ওই দালালদেরকে চিহ্নিত করে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের উদ্যোগে এই বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি শহরের মেট্রোহল দিয়ে মিশনপাড়া হয়ে চাষাড়া চত্বর ঘুরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নিতাইগঞ্জ নগর ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ- সভাপতি আঃ রহমান, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, মহানগর যুুুুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, সাজ্জাদ হোসেন কমল, আশিকুর রহমান অনি, মো. এরশাদ, কামরুল হাসান, অদুদ সাগর, মিনহাজ মিঠু, মোজাম্মেল হোসেন আনোয়ার, হাবিবুর রহমান মাসুদ, জুনায়েদ মোল্লা, শাহীন শরীফ, আরিফ খান, এ এইচ সৌরভ, মানিক বেপারী, মো. বাবুল মিয়া, মো. বাদশা, মো. শাকিল, শফিকুল ইসলাম শফিক, পলাশ বেপারী, সজিব আহমেদ, শহিদুল ইসলাম শহিদ, শাহজালাল কালু, আঃ হাকিম, রেজাউল করিম রেজা, মো. হারুন, মো. নুরুজ্জামান, মো. বাদশা, জহিরুল ইসলাম হারুন, মঞ্জু হোসেন, আরিফ চৌধুরী, আরিফ সাউদ, আঃ কাদির, সোহেল প্রধান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, মাহাবুবুর রহমান, মো. সফিক, জাহিদ, শরীফুর রহমান, সাকিল, সুলতান, আরিফ, মাসুদ রানা, জিসান, রমজান, সাকিল, মিরাজ, রাকিবুল ইসলাম, সামিম, কাউসার আহমেদ, আবদুল হামিদ পলাশ, মো. শাহরিয়ার, আঃ হাকিম, ইব্রাহীম, মো. জামান, সজিব, নিজাম উদ্দিন, সাগর মুন্সী, আঃ রহমান প্রমুখ।