নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে এই খুনি হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেন এবং তার দিকনির্দেশনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।
হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, তার সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়েছে, গডফাদাররা পালিয়েছে কিন্তু কি তাদের কিছু দালাল রয়ে গেছে। গত ১৫ বছর এই বন্দরের মাটিতে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির দালালি করে কিছু কুলাঙ্গার বিএনপিকে কলঙ্কিত করেছে। যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এই বন্দর উপজেলায় দুই দুইবার চেয়ারম্যান হয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে বেইমানি করেছে।
তারাই এখন বিএনপির নাম বিক্রি করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি দৃঢ় ভাষায় বলতে চাই, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটনের নেতৃত্বে বন্দর উপজেলা বিএনপি পরিচালিত হবে। কোন দালালের স্থান এখানে হবে না। এ লক্ষ্যে সকল ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত র্যালি পূর্বক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার ( ১২ নভেম্বর ) বিকেল তিনটায় মদনপুরের দেওয়ানভাগ বাসস্ট্যান্ডে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
টিপু আরো বলেন, আমি নাম বলতে চাই না এমন একজন এই বন্দরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে তিনবার এমপি ছিলেন কিন্তু তিনি কোনদিন বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর উপকার করেননি। তিনি শুধু তার ভাই ছেলে ভাতিজা আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন আর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দালালি করে টাকা কামিয়েছেন তাই তাদের নামে কোন মামলা হামলাও ছিল না, তাদেরকে জেলও খাটতে হয়নি। তারা আরাম আয়েশে ঘুরে বেরিয়েছেন।
আর আমরা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তাই আমরা কোন দালালকে মেনে নেব না কোন দালালদের আধিপত্য বিস্তার করতে দেবো না সে লক্ষে মাজহারুল ইসলাম হিরন এবং হারুনুর রশিদ লিটনের নেতৃত্বে বন্ধর উপজেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশ শেষে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বন্দর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যানার ফেস্টুনে সু- সজ্জিত হয়ে বিশাল র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি দেওয়ানভাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে ঢাকা - চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে মদনপুর স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মামুন ভূঁইয়া, সিনিয়র সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ্ মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুবদল নেতা যুবদল নেতা নুরে এলাহী সোহাগ, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, কামরুল হাসান রনি, অদুদ সাগর, বাবুল মিয়া, সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব রাইয়্যানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।