নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, বন্দরে একটি গোষ্ঠি গত ৫ আগস্টের পর নতুন করে দলের লেবাস বিক্রি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে । যারা এগুলো করছে তারা কিন্তু দলে নিবেদিত কর্মী না।
যারা সাখাওয়াত - টিপু ভাই ও হিরন- লিটনের নেতৃত্বে যারা বিভিন্ন ইউনিয়নে পদ পদবী ধারী এবং সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব পেয়েছেন তারাই প্রকৃত নেতা। তারাই রাজপথের প্রকৃত কর্মী। ৫ আগস্টের পরের দালালরা কিন্তু প্রকৃত কর্মী না। সুতরাং আমরা বলতে চাই মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত র্যালি পূর্বক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় মদনপুরের দেওয়ানভাগ বাসস্ট্যান্ডে বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রনাঙ্গনে নেতৃত্বে দিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এই স্বৈরাচারী সরকার কিন্তু আমাদের নেতা যে স্বাধীনতার ঘোষক ছিল তা কিন্তু তারা বাদ দিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার সেটাকে আবারো রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতার ঘোষক সম্মাননা দিবে।
আমরা কিন্তু সেই ঘোষকের দল করি। আমরা দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে কিন্তু আমাদের বন্দরে যুবদল নেতা নিহত হয়েছে। এছাড়া সারা বাংলাদেশের যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা গুণ খুন ও হত্যা শিকার হয়েছে।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, মহানগর মহিলাদলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মামুন ভূঁইয়া, সিনিয়র সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক শাহিন শাহ্ মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুবদল নেতা যুবদল নেতা নুরে এলাহী সোহাগ, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, কামরুল হাসান রনি, অদুদ সাগর, বাবুল মিয়া, সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাকিব রাইয়্যানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।