নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, গত ৫ আগস্টের পূর্বে যারা রাজপথে ছিলেন, যারা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন মহানগর বিএনপি শুধু তাদেরকেই মূল্যায়ন করবে।
দলের নিবেদিত প্রাণ এ সকল নেতাকর্মীরাই আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে এই শাহেনশাহ আহমেদ, মাজারুল ইসলাম হিরন, নাজমুল হক রানা, হারুনুর রশিদ লিটন, মহিউদ্দিন শিশিরসহ যারা হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার ছিলেন তাদেরকে সাথে নিয়েই বন্দরে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করবো।
কোনো অপশক্তির কাছে মহানগর বিএনপি মাথা নত করবে না। কোনো অপশক্তির কাছে বন্দর থানা বিএনপি মাথা নত করবে না। কোনো অপশক্তির কাছে বন্দর উপজেলা বিএনপি মাথা নত করবে না।
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত র্যালি পূর্বক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন শুধুমাত্র দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।
হাসিনা সরকারের পতন হলেও তার প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা পর্যন্ত এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সে লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর শাহেনশাহ আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, নাসির উল্লাহ টিপু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, সোহেল খান বাবু, ১৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ উদ্দিন, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন পাঠান, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাহেব আলী, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মনোয়ার হোসেন মনাক্কা, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মিয়াজী, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাসেল বেপারী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক কাজল আহম্মেদ কালুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাজী নজরুল ইসলাম, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হাজী জাবেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান টুলু, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফি উদ্দিন সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসলাম নারু, ২৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, যুবদল নেতা নুরে এলাহী সোহাগ, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, পারভেজ খান, কামরুল হাসান রনি, মিনহাজ মিঠুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।