নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভাপতি খুনি শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগকে দেউলিয়া করে দিয়ে গেছে । দুই হাজারেরও অধিক নিহত ছাত্র- জনতার আন্দোলনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র । আমরা নিজেদের রক্তের বিনিময়ে হলেও অর্জিত গণতন্ত্রকে রক্ষা করব। আমরা এখনো আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীদেরকে কিছু বলি নাই। সেটাকে যদি তারা দুর্বলতা মনে করে তাহলে ভুল করবে। তারা আজকের এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করছে। আওয়ামীলীগ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচি প্রতিহতে এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যে ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি বক্তব্যেকালে এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, তারা এদেশের সার্বভৌমত্বের উপর ষড়যন্ত্র করছে। আজকে তারা হুমকি দিচ্ছে যে ছাত্র জনতার আন্দোলনে অর্জিত এই অন্তবর্তী সরকারকে তারা উৎখাত করতে চায়। আমরা একটি কথা বলতে চাই কোন পলাতক নেত্রীর কথা এদেশের মানুষ কান দিবেনা। আমরা আপনাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আচরণ করেছি। আজকে থেকে দেশের মানুষ বলে দিবে আপনাদের প্রতি তাদের আচরণ কেমন হবে। তিন মাস হয়ে গেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর কিন্তু আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মীর ও রক্ত ঝরে নাই। আজকে আওয়ামী লীগ তারা এদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। এইতো সে আওয়ামী লীগ যে আওয়ামী লীগ দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। খুন, গুম ও হত্যার মাধ্যমে তারা এদেশে স্বৈরাশাসক প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু এই অন্তবর্তী কালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পরে আওয়ামী লীগের উপরে যে স্টিম লুড়া চালানোর কথা ছিল কিন্তু আজকে সেটা চালাইনি বলেই তারা বেশি বেড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই যদি এধরনের কোন ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে। খুনি হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের যে সকল দোষরা আছে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের মুখোমুখি করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এবং তাদেরকে নির্মূল করে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিকদের অধিকার তা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আর এদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ তারা পায়তারা করছে। তারা এ দেশ ও জাতির শত্রু। তাই আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে মেনে নেওয়া যায় না। আসুন আমরা সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে প্রতিহত করি।