নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল কাদিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আবদুল কাদির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোট বোনের স্বামী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবদলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে।
অভিযানে যাওয়া সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ছয়টার সময় আসামিরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ করে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা নিজেদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। আসামিরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে তার স্বামী গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় আসামিরা বদিউজ্জামানের ব্যবহৃত ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনটিও লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলায় বাদী অভিযোগ করেন। পরে বদিউজ্জামানকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ সহ দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। সেই মামলায় যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।