বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সুনামধন্য সর্ববৃহৎ দল বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এবং তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে কেউ যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করতে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।
আওয়ামীলীগ সরকার দেশের জন্য কিছুই করেনি। বরং তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে লুটপাট করেছে। আওয়ামীলীগ সরকারের লুটপাটের প্রতিবাদ কেউ করতে পারেনি। যারাই করেছে তাদেরকে গুম, খুন ও আয়না ঘরে বন্দী করে রেখেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আবুল খায়ের খাজা আরও বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে ভোট চোর আওয়ামীলীগের অবৈধ হাসিনা সরকার। জেলে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে সু-চিকিৎসা না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে স্বৈরাচার সরকার। আজ আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে আওয়মীলীগ সরকার। এসব মিথ্যা মামলার বোঝা নিয়ে ১৭ বছর দেশের বাইরে রয়েছেন। আমরা এ নির্যাতন কিভাবে ভুলবো।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ স্বৈরাচার সরকার পতনের পর সারাদেশে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী নৈরাজ্যে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কার সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিএনপি। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের অত্যাচারে জর্জরিত হয়েছি। তার পরেও স্বৈরাচার সরকারের সাথে আপোষ করিনি।
শত শত মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়ে ফেরারির মতো পালিয়ে বেড়িয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন কোন জায়গা নেই যে তারা দুর্নীতি করেনি। ব্যাংক থেকে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। দেশের মানুষ তাদেরকে এখন ঘৃণা করে। মানুষের ভোটার অধিকার হরণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
কেন্দ্রীয় এ নেতা আরও বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী জুটমিলে আওয়ামীলীগের একটি ঘাঁটি ছিল। তখন আমি আদমজীতে বিএনপির রাজনীতি করি। তাদের হামলার শিকার হয়ে একাধিকবার রক্তাক্ত হয়েছি। স্বার্থের জন্য দলের কোন বদনাম করিনি। ভবিষ্যতে কেউ যদি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধি ও বিভিন্ন অপকর্ম করে তাকে আমরা কিছুতেই ছাড় দিব না।
আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ১৮ কোটি মানুষ ভোট দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ সেই সাথে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।