ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১৪ নং ওয়ার্ডে গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ( ৮ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ দেওভোগ পানির ট্যাংকি মাঠে ইসলামী আন্দোলন ১৪নং ওয়ার্ড শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিনিয়র যুগ্ম - মহাসচিব অধ্যাপক গাজী আতাউর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ সামছুল আলম।
প্রধান অতিথির অধ্যাপক গাজী আতাউর রহমান বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। যারা ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালিয়েছিল। যারা হাজার হাজার মানুষকে ঘুম-খুন করেছে। হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিল তারা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত করছে। তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ও দেশের অস্থিতিশীল তৈরি করার জন্য নানা মুখি ষড়যন্ত করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে যারা হিন্দুধর্মাবলী, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ধর্মাবলীরা শতবছর ধরে নিরাপদে রয়েছেন। সরকার পরাবর্তনেরর পরে কিছু সংখ্যালগু বিভিন্ন দাবীদাওয়া নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। বর্তমান সরকারে সবাই দাবী আদায়ের লক্ষ কথা বলতে পারছে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলে কেউ মাঠে নামতে পারেনাই।
তিনি আরোও বলেন, আওয়ামীলীগের সময় কেউ ফেসবুকে স্টাটাসে দিলে মামলা হামলা করতেন। ঠিক তেমনই চট্রগ্রামের একজন ইশকন নিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়েছেন বলে ইসকনেরর লোকেরা ঐক্যবদ্ধ হয় একজন মুসোলমানের বাড়ি ঘড় লোট-পাট ও নির্যাতণ করেছে। পুলিশ খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে কিছু ইশকনের লোকজন যৌথবাহিনীর উপর আক্রমন চালিয়েছে। এখানে সেনা সদস্য সহ পুলিশ আহত হন ১৫ জন। সুধু তাই নয় তারা সেনাবাহীনি ও পুলিশ বাহীনিরর উপর এসিড নিক্ষেপ করেছে। এটা চিন্তার বিষয় কেনো তারা আমাদের উপর এমন মামলা চালাচ্ছে। এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে। যেখানে ডোনালট্রাম বিজয়ী হয়েছে আমাদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। ফ্যাসিবাদীরা ডোনালট্রাম বিজয়ী হওয়াতে আনন্দো উল্লাস করেছে। আমেরিকার আগের সরকার এজেন্ডার বাস্তবায়ন করত। হাসিনা পতনে ভারত সহয্য করতে পারছেনা। বাংলাদেশের সরকারে কে থাকবে না থাকবে সেটা নির্ণয় করবে এ দেশের জণগণ। শেখ হাসিনা সুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয় সে একজন খুনি। সেই খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভারতের সার্থে তারা বাংলাদেশকে ব্যবহার করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ মজিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও মো. আমির হোসেন এর সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, শহর শাখা সভাপতি আব্দুস সোবহান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আমির হোসাই, সলামী যুব আন্দোলনের শহর শাখা সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আরিফ উল্লাহ জাদরান, শহর শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক আদ্বুস সালাম।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের ১৪ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বশির, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সমাজকল্যান সম্পাদক আদ্বুল হালিম, প্রচার সম্পাদক মো নিজাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রোমান সহ ইসলামী আন্দোলনের অন্যআন্য নেতৃবৃন্দগণ।