৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা দিদার খন্দকারের নেতৃত্বে র্যালি বের করা হয়েছে। শহরের দেওভোগ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তিনি।
এ সময় ওয়ার্ড বিএনপি, যুব-ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শত শত নেতা-কর্মীরা ছিলেন। মিছিলটি ২নং রেলগেইটস্থ বিএনপির কার্যালয় প্রদক্ষিণ করে ডিআইটি মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় যোগ দেন।
ওই অনুষ্ঠানে দিদার খন্দকার বলেছেন, মহানগর বিএনপি নিয়ে খেলা হচ্ছে। মূল ধারা রাজনীতি নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিস্ক্রিয়দের নিয়ে চালাচ্ছে তারা। দলের প্রয়োজনে তাদের খুজেঁ পাওয়া যায়নি।
মহানগর বিএনপিকে বিভাজন করতে যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাউসার আশা বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দেয়া হয়েছে। এই সাজানো মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে সৈনিকরা কখনো দলের বিরুদ্ধে অবস্থানে থাকতে পারে না। নেতৃত্বে নিয়েও তাদের কাছে কোন নেতা-কর্মীরা আসে না গতকালকে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
এই বিপ্লবে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে উঠিয়েছিলেন। আর সেজন্যই জাতীয় জীবনে এই বিপ্লবের গুরুত্ব অপরিসীম।