জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে শহরের দেওভোগ চারুকলার সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর দর্জি শ্রমিক দল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহানগর বিএনপি নেতা মো: আওলাদ হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে দেওভোগ পোষাক প্রস্তুতকারক মার্কেট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সুজন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমান বাহিনী, অয়ন ওসমান বাহিনী যেভাবে ছাত্রজনতার ওপর গুলি করেছে, আমরা প্রশাসনের কাছে বলবো আপনারা অবিলম্বে এ সমস্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করুন। তাদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন।
আওয়ামী লীগ বিগত দিনে বহু খুন খারাপি করেছে। আজমেরী ওসমানের যে অস্ত্র, অয়ন ওসমানের যে অস্ত্র এ অস্ত্রগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করুন। তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গদের গ্রেফতার করুন। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, আমাদের অস্ত্রের দরকার হয়নাই।
জণগণের ভালোবাসাটাই ছিলো আমাদের মূল অস্ত্র। আপনারা আমাদের ওপর এত হামলা মামলা চালিয়েছেন, তবুও আমরা মাঠ ছেড়ে যাইনি। কিন্তু আপনাদের নেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, আজমেরী ওসমান-অয়ন ওসমানরা অনেক অন্যায় করেছেন। আমরা নারায়ণগঞ্জে আর কোন সন্ত্রাসীকে দাঁড়াতে দেবোনা। এই নারায়ণগঞ্জ হবে শান্তির নারায়ণগঞ্জ। আম্মাজান, হাজীসাব, যুবরাজ এ শব্দগুলো আমরা আর চাই না।
আমরা চাই, নারায়ণগঞ্জে সব দলের রাজনৈতিক নেতারা শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করবেন। আর কোন গডফাদার ও সন্ত্রাসীদের নারায়ণগঞ্জে চাই না।
তিনি বলেন, আমরা যারা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আপনাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হবে দলকে আরও সুসংগঠিত করা। আমরা সুখে দু:খে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হৃদয়ে দলকে স্থান করে দিবো। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আমরা সরকার গঠন করতে চাই। কোন কারচুপির মাধ্যমে সরকার গঠন করতে চাই না।
নারায়ণগঞ্জে যে কয়টা আসনে বিএনপি প্রার্থী দিবে, ওটাকেই বরণ করে নিবো। বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে যে জনগণ ভোট দিতে পারছে, এটাই হবে আমাদের দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় সাফল্য।
মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সভাপতি মনির মল্লিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকার, মহানগর দর্জি শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি মো: হালিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, লিমন ভূঁইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজন, মহসিন, সানু, জিয়াউদ্দিন, ওমর ফারুক খান, নাসির মাদবর, হযরত আলী, জামাল প্রমূখ।