গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বিএনপি একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছেন।
কিন্তু কোনো দলই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন নাই। বরং রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভিন্নভাবে টোপ দিয়ে, সুবিধা দিয়ে বিভক্ত করে রেখেছিল।
আমরা যখন ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করেছিলাম তখন অনেকেই রাজপথে আসেন নাই।
গোপনে গোপনে কেউ ডিজিএফআই থেকে টাকা খেয়ে, শেখ হাসিনার সঙ্গে সমাঝোতা করে এই ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কাজেই ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পাওয়া নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে পরিবর্তন ঘটাতে গণঅধিকার পরিষদ পুরোদমে কাজ করে যাবেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে এবং এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় ছিল ওসমান পরিবারের দাপটে এই নারায়ণগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জে যা হয়েছে তা দেশের ইতিহাসে ঘৃণিত অধ্যায়। এই নারায়ণগঞ্জে মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে ওসমান পরিবার কিভাবে হত্যা করেছিল তা নারায়ণগঞ্জবাসী ভালো করেই জানেন।
তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সেভেন মার্ডারের ঘটনা ঘটিয়েছিল। তারা খেলা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিল। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার আগেই খেলোয়াড়রা মাঠ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই খেলোয়াড়রা নারায়ণগঞ্জে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল তার প্রতিবাদ করে আসছিল ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি।
আমাদের নেতাকর্মীরা ওসমান পরিবারের হুমকি ধমকির মধ্যেই মাঠ পর্যায়ে কাজ করে গেছেন। অনেকেই নানানভাবে লাঞ্চিত হয়েছেন, ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ পুরো প্রশাসনকে তারা দলীয়করণ করে রেখেছিল।
গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আরিফ হোসেন ভুঁইয়াসহ জেলা ও মহানগর গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।