নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আমাদের যুবদলের নেতাকর্মীরা বিগত সাড়ে ১৭টি বছর মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের দুই বছর আর আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সাড়ে পনেরটি বছর যুবদলের নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে।
আমাদের সাথে সাথে আমাদের পরিবার সবসময় নির্যাতিত ছিল। এই সাড়ে ১৭টি বছর আমরা মামলা- হামলা, জেল-নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে আমরা কিভাবে জীবন যাপন করেছি। পালিয়ে থেকেও কিন্তু আমরা রাজপথে ছিলাম। দেশ ছেড়ে কিন্তু পালিয়ে যায়নি।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরের চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার পালিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তার দোসররা এখনো দেশে আছে। তার জন্য যুবদলের নেতাকর্মীরা আপনারা সব সময় সজাগ থাকবেন। আমাদের এই যুদ্ধ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
আমাদের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান লন্ডন থেকে যে আন্দোলন পরিচালনা করছেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ললাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের আন্দোলনও কিন্তু নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ষর নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিএনপি আমরা কখনো পালিয়ে যাওয়ার দল না। আমরা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে টিকে ছিলাম এবং এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটিয়েছে ।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা দায়িত্ব আপনারা রাজপথে সজাগ থাকবেন। যারা এই বিগত দিনে হত্যা, খুন গুমসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে দেখামাত্র। পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দিবেন।
তারা যেন ভবিষ্যতে নারায়ণগঞ্জের মাটিতে কোন অপকর্ম করতে না পারে। আর আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান যেই পর্যন্ত দেশের মাটিতে ফিরে না আসবে সেই পর্যন্ত তারেক রহমানের যে চিন্তা চেতনা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করা যাবে ততদিন পর্যন্ত যুবদলের নেতাকর্মীরা আমরা যারা আছি আমাদেরকে রাজপথে সজাগ থাকতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূরে এলাহী সোহাগ, মঞ্জুরুল আলম মুসা, শেখ মোহাম্মদ অপু, সাবেক সহ- সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ খান, আরমান হোসেন, মহানগর যুুুুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, রাফি উদ্দিন রিয়াদ, সাইফুল ইসলাম আপন, সাজ্জাদ হোসেন কমল, আশিকুর রহমান অনি, মো. এরশাদ, কামরুল হাসান, অদুদ সাগর, মিনহাজ মিঠু, হাবিবুর রহমান মাসুদ, সম্রাট হাসান সুজন, জুনায়েদ মোল্লা, কাজী সাদ্দাম, এ এইচ সৌরভ, মানিক বেপারী, মো. বাবুল মিয়া, মো. বাদশা, মো. শাকিল, শফিকুল ইসলাম শফিক, শাহীন শরীফ, আরিফ খান, পলাশ বেপারী, সজিব আহমেদ, শহিদুল ইসলাম শহিদ, শাহজালাল কালু, আঃ হাকিম, রেজাউল করিম রেজা, মো. হারুন, মো. নুরুজ্জামান, মো. বাদশা, জহিরুল ইসলাম হারুন, মঞ্জু হোসেন, আরিফ চৌধুরী, আরিফ সাউদ, আঃ কাদির, সোহেল প্রধান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, মাহাবুবুর রহমান, মো. সফিক, জাহিদ, শরীফুর রহমান, সাকিল, সুলতান, আরিফ, মাসুদ রানা, জিসান, মিন্টু, রমজান, সাকিল, মিরাজ, রাকিবুল ইসলাম, সামিম, কাউসার আহমেদ, আবদুল হামিদ পলাশ, মো. শাহরিয়ার, আঃ হাকিম, ইব্রাহীম, মো. জামান, সজিব, নিজাম উদ্দিন, সাগর মুন্সী, আঃ রহমান প্রমুখ।