বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো জনশক্তি চট্টগ্রামে পূজা মন্ডপে গান পরিবেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিশেষ করে ওই পূজামণ্ডপের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকেই মূলত যারা গান গাওয়ার জন্য আসছিলো তাদের আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তারা আমন্ত্রিত ছিল। যদিও এখন এটাকে ভিন্নভাবে নেওয়া হচ্ছে। শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
একটা কালচারাল একাডেমির কিছু শিল্পীরা এসে গান গায়, যাদের শিবির আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে পূজা মণ্ডপের এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং দুইজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, একটা ভুল বুঝাবুঝি বা একটা ভুল ম্যাসেজের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এটা সুষ্ঠু তদন্ত করার মধ্য দিয়ে সমাধান করা উচিত।
শনিবার (১২ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান রাকিবের সভাপতিত্বে শহরের ইসদাইর এলাকার বাংলা ভবনে এ সাথী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ আবদুল জব্বার।
এ সময় মঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, আদর্শিকভাবে শিবির একটা শক্তিশালী সংগঠন। যারা শিবিরের এই আদর্শিক আন্দোলনকে পছন্দ করে না, শিবিরের কার্যক্রমে যারা ভীত সন্ত্রস্ত, তারাই গুজব অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।
পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো শতভাগ নিরাপত্তা দিয়ে এটাকে বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া। এদেশের জনগণেরও দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করা। যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খার জায়গা হলো অন্তবর্তীকালীন সরকার সরকার। কিন্তু আমরা বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছি। অনিয়ন্ত্রিত বাজার এবং প্রশাসনের অনেক সেক্টরেই এখনো হাসিনা রেজিমের হস্তক্ষেপ এবং থাবা রয়ে গেছে। ফ্যাসিস্ট রেজিমের যারা বিগত সময়ে সহযোগিতা করেছে তারা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অতি দ্রুতই তাদেরকে অপসারণ করা উচিত।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের একমাত্র মডেল আমরা তাকেই অনুসরণ অনুকরণ করবো। এবং জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে রাসূলের আর্দশ মেনে চলবো। তাহলেই দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি। এবং এই রোগাক্রান্ত সমাজ ব্যবস্থাকে আমাদেরই সুস্থ করে তোলতে হবে।
প্রধান বক্তা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে সরকারকে মানবিক হিসেবে দাড়াতে হবে, যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। দেশের উন্নতি সাধনে ছাত্রশিবির কে জ্ঞানের রাজ্যে রাজত্ব করতে হবে।
সাথী সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মো. শাফিউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক মো. সিবগাতুল্লাহ। নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মানোয়ার হোসাইন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জাকির হোসাইন, জেলা শিবির সভাপতিসহ মহানগর জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ।