নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব বলেছেন, এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মানুষের উপর স্টীম লুরার চালিয়েছিল। এদেশের মানুষকে বিভিন্ন নির্যাতন ও সহ্য করতে হয়েছে। বিশেষ করে আমরা যারা বিরোধী দলের রাজনীতি করেছি আমাদের উপরে যে কত হামলা মামলা নির্যাতন করেছে তা বলে শেষ করা যাবে না।
একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হিসেবে আমরা তা সহ্য করেছি। মানুষের বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সম্রাজ্যবাদের মাধ্যমে দলীয়করণ করে লুটতরাজের মাধ্যমে সেই গুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
সেটা হোক পুলিশ প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা কিনতে এই সাব রেজিস্টার অফিস। সেই সম্রাজ্যবাদ অপশাসন ও লুটতরাজের হাত থেকে আন্দোলন সংগ্রামের সেটাকে মুক্ত করেছে তার জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা দলিল লেখক ও তল্লাশিকারক কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার পেছনে অসাধু কিছু কর্মকর্তা তারা সব সময় জড়িত ছিল। একটা নির্দ্বিধায় বলা যায় এদের সমন্বয় এবং সহযোগিতা ছাড়া কিন্তু কোন কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি বলতে চাই এই বাংলাদেশ আর ১৬ বছরের আগের বাংলাদেশ এক কিন্তু নয়।
আজকে যে বাংলাদেশ একটি দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমাজ গতি কিন্তু আমাদের ছাত্র-জনতা তাদের নিজের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছিল। তাদের আত্মত্যাগে কিন্তু আমরা পেয়েছি নতুন একটি বাংলাদেশ। আমরা কোন অবস্থাতেই তাদের এই আত্মত্যাগকে বিধা যেতে দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকার গত ১৬ বছরে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছিলেন। আর এই অফিসের অনেকের বিরুদ্ধেই অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তারা বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া থেকে অনেক অন্যায় জুলুম ও দুর্নীতি করেছেন। এই অফিসটাকে অনিয়মের একটি দুর্গ হিসাবে তৈরি করেছে নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে।
আমি বলতে চাই যা করেছেন করেছেন ভবিষ্যতে আর কোন কিছু করার চেষ্টা করবেন না। দয়া করে আজ থেকে এগুলো সব কিছু বন্ধ করেন। যদি কিছু করেন তাহলে তার ফল আপনাদেরকে ভোগ করতে হবে। আজ থেকে এই অফিস যেন নারায়ণগঞ্জের বুকে একটি দুর্নীতিমুক্ত অফিস হতে পারে কার জন্য আপনারা সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
আমাদের দলে যারা রয়েছেন তারা দলের আদর্শ মেনে মানুষকে সেবা দেওয়ার মনমানসিকতা নিয়েই এখানে কাজ করতে হবে। যাতে ভাবমূর্তি কোন রকমে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই মানুষকে সেবা দিয়ে যাবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা দলিল লেখক ও তল্লাশি কারক কল্যাণ সমিতি নেতা তপন ভূঁইয়া তপু'র সভাপতিত্বে ও মহানগর ছাত্রদলের সহ- সভাপতি সামাউল ইসলাম স্বর্ণার সঞ্চালনায় এবং রাজু মৃধা, শাওন, লিটন , রাসেল, সিমরান, আজমেরী'র সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হক, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা শাহ আলম ভূঁইয়া, আঃ জব্বার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাহেব উল্লাহ রোমান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, মো. নাজমুল, লুৎফর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ- সভাপতি শাহাজাদা আলম রতন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. সোহেল, ওমর ফারুক শোভন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ- সভাপতি মোহসিন হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাগফুর ইসলাম পাপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, রায়হান হক, সদস্য রুবেল কিবরিয়া, ছাত্রদল নেতা সিফাত, মোহন, সবুজ, রুবেল, রাসেল, হাসান, বাপ্পী, রিফাত, মামুন, সুজনসহ নেতৃবৃন্দ।