বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন গণহত্যার নির্দেশদাতা খুনি হাসিনার পতন হয়েছে। খুনি হাসিনা ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকান্ড চালিয়েছে।
২০১৩ সালের ৫ই মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের অনেক আলেমদের হত্যা করিয়েছে। ২০২৪ সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি খুনি হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা করা হয়। খুনি হাসিনাকে মাফ করা হবে না বলে জানান। হাসিনাকে এখন বিশ্বের কোন দেশ জায়গা দিচ্ছেনা।
শুক্রবার (১৬ই আগষ্ট) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে ছাত্র জনসমাবেশে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের দোসররা এখন বিএনপির সাথে মিশে বিভিন্ন অপকর্ম করছে। আওয়ামীলীগের দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুদের কঠোর ভাবে প্রতিহত করবো। আর যারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে দখলবাজি করছেন তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নারায়নগঞ্জ ৪ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, অনেক বার বলেছেন খেলা হবে, এখন কই আপনি আসেন খেলবেন না, চোরের মত কেন আবার বোরকা পরে পালিয়ে গেলেন। আপনারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছেন। নারায়ণগঞ্জে লুটপাট, চাঁদাবাজি ও মানুষ হত্যা করেছেন। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দি করে রেখেছেন। আপনাদের এসব অপকর্মের জন্য শাস্তি পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ত্বকি হত্যা, ৭ খুন সহ সারাদেশের সকল হত্যার বিচার করা হবে। খুনি হাসিনার নির্দেশে আপনারা আয়না ঘরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের বন্দি করে নির্যাতন করেছেন। আপনারদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবেনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভীকে হুশিয়ারি করে বলেন, আপনি ১৫ আগষ্ট ১২ জন লোক নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে ফুল দিয়ে আসেন। আপনি আমাদের ভয় দেখান? অবৈধ সরকার খুনি হাসিনার পতনের দাবিতে যেসব ছাত্র সহ নিরিহ মানুষের রক্ত ঝরেঝে সে রক্তের দাগ এখনো রাজপথ থেকে যায়নি। আপনি আইভী যারা নিহত আহত হয়েছে তাদের খোজ-খবর নেননি। আপনি ভোটের মাধ্যমে মেয়র হননি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শাহআলম, মহা নগর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহআলম মাস্টার, নাসিক১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি গাজী মনির, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক শ্যামল, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশাররফ ও সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি শামসুদ্দিন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, সহ-সাধারন সম্পাদক স্রমাট আকবর প্রমূখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক অকিল উদ্দিন ভূইয়া। সঞ্চালনা করেন মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান ফারহান।