গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার নানা রকম ছলচাতুরি করে ষড়যন্ত্র করছে। রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে দমন পীড়ন করে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন আমি সব জায়গায় ডামি প্রার্থী দেওয়ার জন্য বলেছি। আমাদের কোনো কথা না উনারা যা করেন নিজেরাই পরবর্তীতে ফলাও করে বলেন। আমরা সেটাই বলছি আমি আর ডামির নির্বাচন। আমি ডামি নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় বসেছে।
আমরা মনে করি এ সরকার দেশ এবং জাতির শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এরা আমাদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এরা আমাদের দেশকে বিপদে ফেলছে। তাই সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের অধিকারহীনতা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে জায়গা করে নিতে হবে।
সমস্ত লড়াইয়ে নিজেদের যুক্ত করতে হবে। এই লড়াই একসময় গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিবে, সেদিন বেশি দূরে নয়। সরকার ভাবছে ৭ জানুয়ারি তাদের বিজয় হয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি সেদিন দেশের মানুষ রায় দিয়েছে তারা সরকারের সঙ্গে নেই।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে দেশ রক্ষার জন্য নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভয় বিভ্রান্তি বিভক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজপথে জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সম্মেলন উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ ও জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি শুভ দেবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এসময় জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, আমাদের মধ্যে ভয় বাসা বেধেছে। সরকার ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই ভয়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। এ দেশ আমাদের। এই দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের স্বার্থের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।
এই লড়াইয়ে বাঁধা আসবে, পুলিশ লেলিয়ে দিবে, জেলে দিবে কিন্তু এক লাখের বেশি লোক জেলে রাখতে পারবে না। যেদিন কোটি কোটি মানুষ রাজপথে নামবে তখন কেউই সামাল দিতে পারবে না।