নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, যে যেই দলই করেন আপত্তি নেই। জ্বালাও পোড়াও করবেন আমি ছাড়বো না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশের প্রতি কুদৃষ্টি আছে। জানুয়ারি থেকে মে মাস পরিস্থিতি খারাপ হবে। না খাইয়ে মারার চেষ্টা হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি শয়তান যেমন আল্লাহর সাথে পারে না। ওরাও শেখ হাসিনার সাথে পারবে না কারণ তার উপর আল্লাহর রহমত আছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে আদমজী এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনোত্ত্বর পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, নির্বাচনের দিন আমার কাছে সারাদিন ফোন এসেছে। প্রথম খেলা টেলিফোন নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে দিবে না। এগুলো প্ল্যান করে করা হয়েছে। সর্ষের ভেতর ভুত আছে। অনেক পোশাকওয়ালা মানুষ বলেছে, ভোট স্লো করেন। তারা জানে না এখানে সকল এজেন্সির বাইরে আরেকটা এজেন্সি কাজ করে। শেখ হাসিনার এজেন্সি আছে। তারা বোঝে না শামীম ওসমান আলাদা চিজ হ্যায়।
তিনি বলেন, আমি জনসভার পর আপাকে বলেছিলাম আপনি কী খুশি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি অনেক অনেক খুশি হয়েছি। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার এলাকায় জানি কত পার্সেন্ট ভোট পড়বে। আমি ৪০-৪২% ভোট আশা করেছিলাম। সেখানে ৩২% ভোট পড়েছে। বাকি ভোট পড়েনি নাকি পড়তে দেয়া হয়নি। আমি পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই।
নয়ত আমার কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ত। নারায়ণগঞ্জের কর্মীরা উত্তেজিত হলে পুরো বাংলাদেশও থামাতে পারে না। নবম ডিভিশনের ফোর্স পনেরো দিন বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছিল। আমাকে টাচ করতে পারেনি।
শামীম ওসমান আরও বলেন, সারা দেশে নির্বাচন আসলেই বলে টাকা দেন টাকা দেন। আমার এলাকায় আমি পোস্টার ছাপিয়েছি। এর পরেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখি পোস্টার ছাপানো হয়ে গেছে। এরচেয়ে বেশি চাওয়া পাওয়া আমার কিছু নেই।
এবারের নির্বাচনে আমি ভোট চাইনি। নির্বাচন শেষ, এবার একটাই প্রতিজ্ঞা- নারায়ণগঞ্জকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ইভটিজিংমুক্ত করব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উসিলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে পতিতালয় উচ্ছেদ করেছিলাম। এবারও বাধা আসতে পারে, তবে আপনারা যদি নাও আসেন, যারা মাদক বেচে তাদের বুকে পাড়া দেব আমরা।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বিএসসির সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামিম আরা লাভলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক নাসিক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, নাসিক প্যানেল মেয়র সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর শাহ জালাল বাদল, নাসিক ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান রিপন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূইয়া রাজু, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব হোসেন, শ্রমিক নেতা আশরাফ উদ্দিন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী ওমর ফারুক, আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, যুবলীগ নেতা খন্দকার মানিক মাস্টার, যুবলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান ও যুবলীগ নেতা আবুল কাসেমসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।