বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেছেন, একজন জাহাজী শ্রমিকরা কখনো স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস উদযাপন করতো না। তারা জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করতো না। জয় বাংলা স্লোগানও উচ্চারণ করতো না। জয় বাংলা হচ্ছে স্বাধীনতার জয়ধ্বনি। আজকে আমাদের নেতা শুক্কুর মাহমুদের বদৌলতে জাহাজী শ্রমিকরা গার্মেন্টস শ্রমিকরা জয় বাংলা বলতে শিখেছে। জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে যারা কটুক্তি করেছিল সেই নেতার অনুসারীদের নিয়ে আজকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বৈঠক করেন। তারা শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর ) শহরের ৫নং ঘাট এলাকায় জাতীয় শ্রমিকলীগের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন সবুজ শিকদার।
তিনি আরও বলেন, আইডব্লিউটিএ ডিজি শিপিং শ্রম দপ্তরে সহ বিভিন্ন জায়গা গিয়ে পরিচয় দেয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী নাকি তাদের ভাবী লাগে, নৌ প্রতিমন্ত্রী তাদের বন্ধু লাগে, চেয়ারম্যান তাদের ভাই লাগে। অথচ এরাই আবার ওইসব ভবন থেকে নেমে রাজপথে গুটিকয়েক শ্রমিকদের নিয়ে নামসর্বস্ব সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রীকে গালাগাল করেন। এরা আইএলওসহ বিভিন্ন জায়গায় মেইল পাঠিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। এটা তারা করতে পারে কারণ আজকে শ্রমিকলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী থাকলেও শ্রমিকলীগের নেতারা সঠিক ভূমিকা রাখতে পারেনা। প্রত্যেকটি জায়গায় গ্রুপিং করা হয়েছে। আজকে যেসব নেতারা মাদক খায় ইয়াবা বিক্রি করে অন্যায় অপকর্মে লিপ্ত যারা বিভিন্ন জায়গায় গ্রুপিংয়ে লিপ্ত তাদেরকে বানানো হয়েছে নেতা। সেজন্য আজকে বাংলাদেশে শ্রমিকদের এই অবস্থা।
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মঈন মাহমুদ, রাফিয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সরদার আলমগীর মাষ্টার, দপ্তর সম্পাদক কবির হোসেন প্রমুখ।