বর্ষাকাল এলেই ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসরত কয়েক লাখ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এমন পরিস্থিতি অবলোকন করছি। আমরা দেখছি, ডিএনডির কয়েক লাখ মানুষকে এই বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানি কোথাও আবার কোমর পানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে।
এই দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের পক্ষ থেকে গত সাড়ে ১৪ বছরেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যা সরকার এবং সরকারের স্থানীয় প্রতিনিধির সদিচ্ছার অভাব বলেই মনে করছি।
মঙ্গলবার গনমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা- সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এসব কথা গুলো বলেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি সরকার আমলে একবার ডিএনডির অভ্যন্তরে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে আমরা সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কয়েকটি পয়েন্টে সেচ পাম্প স্থাপন করি এবং দিনরাত সেসব পাম্প সচল রেখে জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সচেষ্ট হই। এতেই প্রতিয়মান হয় যে, সদিচ্ছা আর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে কোনো সমস্যাই সমাধান অযোগ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, ডিএনডির জলাজা নিরসনের লক্ষ্যে সরকার যে মেগা প্রকল্প গত কয়েক বছর আগে হাতে নিয়েছিল তা ধীরগতি। জলাব্ধতা সৃষ্টি হলে প্রতিবছরই নানা রকম আশ্বাস দেওয়া ছাড়া কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ প্রতিয়মান হচ্ছে না। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি মানুষ এখন আর এসব আশ্বাসে আশ্বস্ত হতে পারছে না। তারা চা তাদের দুর্ভোগ লাঘব হোক।
আমরা মনে করি ডিএনডিবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য প্রয়োজন ক্রাশ প্রোগ্রাম। এ ছাড়া ডিএনডির জলাব্ধতা নিরসন সম্ভব নয়। ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্য ডিএনডির অভ্যন্তরের পরানিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অন্যথায় ডিএনডিবাসীর পাশে থেকে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। আমরা মনে করি, ফতুল্লা অঞ্চলকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী, কেননা, ইউনিয়ন পরিষদের স্বল্প বাজেটে পয়ঃনিষ্কাশন ও জলাদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে খাল খনন, ড্রেনের ব্যবস্থা উন্নীতকরণ সম্ভব নয়। তাই ফতুল্লা অঞ্চলকে সিটির অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ডিএনডির জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে অদ্য (৪ জুলাই) ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে যে, বিএনপি ও এর সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে, সামর্থ্য অনুযায়ী দুর্ভোগ কবিলত মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
ডিএনডিবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই হতাশ হবেন না, ধৈর্য ধারণ করুন, আপনাদের এই দুর্ভোগে বিএনপির নেতাকর্মীরা আপনাদের পাশে আছি। একই সঙ্গে আরও বলতে চাই, আগামীতে যদি বিএনপি সরকারে আসে এবং আপনাদের সেবা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়, তবে সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে ডিএনডির জলাব্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান করা হবে, ইনশাল্লাহ।