নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল মমতাময়ী মা খোদেজা বেগম ক্যান্সার আক্রান্ত মুমূর্ষু অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ৮ নভেম্বর থেকেই তিনি হাসপাতালে শয্যাশয়ী। হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়ী মায়ের সেবায় থেকেও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দুই মামলার ৬ ও ৭ নাম্বার আসামি হয়েছেন যুবদলের এই নেতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দুই মামলায় আক্ষেপ করে মনিরুল ইসলাম সজল তার নিজস্ব ফেইসবুকে আইডিতে পৃথক পৃথক ভাবে দুটি স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, 'হাসপাতালে ক্যানসার আক্রান্ত মুমূর্ষু মায়ের পাশে থাকার পরও কিভাবে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারী সমিতির পিছনে পুলিশের গায়ে ককটেল নিক্ষেপ করলাম' |
আরো একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি লিখেছেন, 'মৃত্যু প্রথযাএী মায়ের সাথে হাসপাতালে থাকা কালিন সময়ে নারায়ণগঞ্জে আরেকটি নাশকতার মামলা খাইলাম। আলহামদুলিল্লাহ্'|
প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই কাজী ফেরদৌস বাদী হয়ে মনিরুল ইসলাম সজলকে ৬ নাম্বার আসামি করে ১৪ নাম উল্লেখ ও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য করা হয়, গত ২৮ নভেম্বর শহরের মিশনপাড়ায় হোসিয়ারি সমিতির পশ্চিম পাশের রাস্তায় নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল ছুড়তে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
এছাড়াও ১ ডিসেম্বর দুপুরে সদর মডেল থানার এস আই আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেন। মামলায় মনিরুল ইসলাম সজলকে ৭নাম্বারসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলা উল্লেখ্য করা হয় গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়ায় মশাল মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ।
জানা গেছে, মনিরুল ইসলাম সজলের মা ক্যান্সার আক্রান্ত খোদেজা বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গত ৮ নভেম্বর থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালের গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।