সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ ঈদগাহ এলাকায় সরকারি বরাদ্দকৃত হালটসহ নদী ও ঘাট এর জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করেছেন এলাকার প্রভাবশালী মহল আশরাফউদ্দিন।
জানা যায়, কাবিলগঞ্জ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আশাব উদ্দিন কাবিলগঞ্জ ঈদগার পাশে মেনিখালি মৌজা আরএস- ৩৭৪,৩৭৫ এস এ-২০৫ ও সি এস ৫৬ এই দুই দাগের মোট (১৪ +৯)=২৩ ও হালট ৭ শতাংশসহ ৩০ শতাংশ জায়গা তারা বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।
এলাকাবাসী জানান, আমরা কাবিলগঞ্জ বাসি দীর্ঘদিন যাবত এই ঘাটলা দিয়ে সবাই গোসল করে আসছি। সরকার আমাদেরকে লিখিতভাবেই ঘাটসহ নদী ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। এখন আমাদের এলাকার প্রভাবশালী লোকদের ভয়ে আমরা কেউ কিছু বলতে পারছি না।
কিছুদিন আগে এলাকার এক ছেলে শিমুল পিতা বাচ্চু মিয়া তাকে তারা পায়ে গুলি করে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছেন এবং কাউসার পিতা জয়নাল তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার বাড়ি -ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
এই কারণে এলাকার কোন লোক তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। তাদেরকেই ভয় পায়। আগুনে পোড়ার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ডিবি কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া আছে।
এ বিষয়ে আশাবুদ্দিন বলেন, আমি এখানে একটি মাদ্রাসা তৈরি করার জন্য জমি ভরাট করতাছি। সাংবাদিকরা আপনারা আসবেন দোয়ায় শরীক হবেন এবং এই ঘাটলাটি নতুন করে মেরামত করে দিব। তাদের কেউ কেউ বলছেন, এখানে কোন ঘাটলাই ছিল না কিন্তু পর্চা নকশায় হালটসহ ঘাটলার উল্লেখ পাওয়া যায়।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ হোসাইন বলেন,- সোনারগাঁ ইতিহাস ঐতিহ্য ঘোরা একটি নগরী। এই নগরীতে জুরে অসংখ্য নদী নালা -খালবিল রয়েছে, যার গুরুত্ব অপরিসীম। এখব চোখ ঘুরালেই দেখা যায় জলাবদ্ধতা। এর একটিই কারণ নদী ও খাল ভরাট করা হয়েছে।
যেসকল খাল ও নদী দখলকৃত তা উদ্ধার করে দখলদার কে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাছি।
এ বিষয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নায়েব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করছি। সরকারি হালট বিনা অনুমতিতে বালু দিয়ে ভরাট করছে।
আমি তাদেরকে হালট এর জায়গা ছেড়ে দিয়ে বালু ভরাট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এবং এ বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আমি এসিল্যান্ড ও ইউএনও মহোদয় কে অবগত করেছি। তারা আমাকে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।