নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানি জামিনে বের হয়ে বেপরোয়া, আতঙ্ক

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০০:০১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানি জামিনে বের হয়ে বেপরোয়া, আতঙ্ক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী ইয়ানুুর রহমান সানি আতঙ্কে ভুগছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। রাব্বি হত্যা মামলায় কারাভোগ কওে জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

গত ৯ জুন রোববার রাত ১০টার দিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস গ্রামে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও সেই টাকার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে সানি'র  নেতৃত্বে  রাব্বী (২২) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। 

সোনারগাঁয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি হৃদয় ওরফে গিট্টু হৃদয় (৩০) ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। গিট্টু  হৃদয় মারা যাওয়ার পর তার অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ এখন এই সানি বাহিনীর হাতে। 

জানা যায়, ক্ষমতার পালাবদলে পাল্টাচ্ছে দখল, চাঁদাবাজিতে চেহারা বদল। জেলা স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পদক জাবেদ রায়হান জয়ের পালিত সন্ত্রাসী এই সানি ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় বিএনপি নেতা সোনারগাঁ উপজেলা কৃষক দলের  সদস্য সচিব বাবুল হোসেন বিজয়ের ছত্রছায়ায় ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এই বিএনপি নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে চালাচ্ছে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম ।স্থানীয়রা আরও জানান, যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দলেরই হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এই সন্ত্রাসী সানি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণের একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে।

এজন্য সন্ত্রাসী সানিকে স্থানীয়রা এক নামেই চেনে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে। ইতোমধ্যে জানা যায়, বিভিন্ন থানায় এই সন্ত্রাসী সানির বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ডজন খানেক মামলা। তবে সর্বশেষ রাব্বি হত্যা মামলার মামলায় জমিনে বের হয়েও পুনরায় আবার সে তার অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। এমনকি সে বাড়িমজলিশ এলাকার মদ ব্যবসায়ী রুস্তমের পালিত সন্তান বলে জানা গেছে। 

এর আগেও  ২০২২ সালে ১৭ মে উপজেলা বাড়ি চিনিস এলাকায় চাঁদাবাজি করতে গেলে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাড়ি মজলিস এলাকার একজন ভুক্তভোগী  জানান, কোনো নতুন বাড়ি তৈরি করতে গেলে  তাদের ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় তারা বাড়িতে এসে মারধর ও ভাঙচুর চালায়। তাদের ভয়ে অনেক  এই এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ করা বন্ধ করে দিয়েছে।

তাই তার অত্যাচার থেকে মুক্তি চাইছেন বাড়ি মজলিস, বাড়ি চিনিষ, সাদিপুর, বন্দেরা এলাকার ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত সানিকে তার ব্যবহৃত ০১৮৮৬০৬১৯৪ মোবাইলে  ফোন দিলে রিসিভ করেননি।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এম এ বারি বলেন, সানি'র বিরুদ্ধে আগে কী কী মামলা রয়েছে আমার জানা নেই, তবে তার অতীত রেকর্ড দেখে আমরা দ্রুত অ্যাকশনে যাচ্ছি। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।