
শেখ হাসিনার পতনের পরে এখন খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি বনে গেছেন সোনারগাঁও উপজেলাধীন জামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির মেম্বার।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কঠোর হতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রতি সতর্কতা জারি করেছিল দলটি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল নিজের অবস্থানকে ভারি করার জন্য মনির মেম্বারকে দলে বিড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্র জানায়- সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ইউপি সদস্য মনির মেম্বার ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। ছিলেন সাবেক এমপি কাউসার হাসনাতের আস্থাভাজন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে সোনারগাঁর এমপি হন লিয়াকত হোসেন খোকা।
খোকা টানা দুইবার সোনারগাঁর এমপি হন তখন জাকির মেম্বার বনে যান জাতীয় পার্টির নেতা। ২০২৪ সালে পুনরায় কাউসার হাসনাত সোনারগাঁর এমপি হলে তিনি আবারও তার সাথে গিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। স্থানীয় থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় হাইপ্রোপাল নেতাদের সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক।
আর সেই প্রভাবে জামপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড এলাকায় তিনি নিজের সম্রাজ্য তৈরি করেছিলেন। মানুষের জমি দখল, লুটপাট ও মাদক ব্যবসা ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। তা ছিল বিশাল এক বাহিনী কেউ যদি তার বিরুদ্ধে কথা বলতো তাহলে তাদের বিরুদ্ধে চলতো নিবিড় জুলুম অত্যাচার। বিগত ১৫ বছর মনির মেম্বারের অত্যাচারে এই জামপুর ৮ নং ওয়ার্ডের মানুষ ছিল নির্যাতিত।
আর গতই পাশে আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে নিজের খোলস পাল্টিয়ে মনির মেম্বার এখন আবার বনে গেছেন বিএনপির নেতা। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের ছবি ব্যবহার করে ব্যানার ফেস্টুন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে জাহির করতে চলেছেন।
আর কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের প্রশ্রয় সে এলাকা আবারও নতুন করে আবারও প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে।ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের সাথে বিভিন্ন জায়গায় সে যাতায়াত করে এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে সে নতুন করে বিএনপিতে প্রবেশ করেছে বলতে বুঝাতে চাচ্ছে।
ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের সাথে আওয়ামী লীগের দোসর ও ভূমিদস্যু লুটতরাজ মনির মেম্বারের ছবি দেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোপের বিরাজ করছে। যার অত্যাচারের দীর্ঘ ১৫ টি বছর জামপুরের ৮নং ইউনিয়নের মানুষগণ অত্যাচারিত নিপীড়িত ছিল সেই অত্যাচারী জুলুমবাদ মুনির মেম্বারকে আবারো প্রশ্রয় দিচ্ছে ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।
তারা বলেন যারা বিএনপির কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের পেতাত্মাদের সোনারগাঁ বিএনপিতে নতুন করে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে তা-েদর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এবিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়- আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে কঠোর হতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর প্রতি সতর্কতা জারি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গত (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী বা কোনো অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিএনপির কোনো কমিটিতে ঢুকতে পারবেন না।’বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলতে দলের সব নেতা-কর্মীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।