নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

১৮ মার্চ ২০২৫

নাশকতামূলক অপরাধ কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনাকালে

সিদ্ধিরগঞ্জে আরসা’র প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬, দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:১৭:৫৫, ১৮ মার্চ ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে আরসা’র প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬, দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন (আরসা) এর প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিসহ ছয়জনকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

গ্রেপ্তারকৃতরা অন্যরা হলেন- মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের  মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোশতাক আহমেদ (৬৬), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার আতিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৪), মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের মৃত আব্দুল আমিনের ছেলে সলিমুল্লাহ (২৭), সলিমুল্লাহর স্ত্রী আসমাউল হোসনা (২৩) ও আরাকান রাজ্যের নুর আলমের ছেলে হাসান (১৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে  ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃতরা নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার জন্য গোপন বৈঠক করে আসছিলো।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে আসামিরা নাশকতামূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লি আবাসন এলাকার একটি বহুতল ভবনে গোপন বৈঠক করছে। পরে ১৭ মার্চ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আইনি পক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার সকালে তাদের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম জানান, ৫ রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র‌্যাব বাদি হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। 

এদিকে মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুটি মামলায় বিশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠায় পুলিশ।

পরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঈনুদ্দিন কাদির শুনানি শেষে দুটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরির্দশক কাউয়ুম খান।  

প্রসঙ্গত: ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী অভিযানে নামে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও ডিজিএফআইয়ের বিশেষ একটি দল। তখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রিজওয়ান রুশদী। গুলিবিদ্ধ হন র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্য সোহেল বড়ুয়া। গুলিতে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা তরুণী সাজেদা বেগমও (২০) নিহত হন।

এ ঘটনায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডিজিএফআই কক্সবাজার কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনিকে প্রধান করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। পরে চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাহাফুজ ইমতিয়াজ ৫১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।