নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

০৪ মার্চ ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে হামলা ও লুটপাট, আহত ১২

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:২৩, ৩ মার্চ ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে হামলা ও লুটপাট, আহত ১২

সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গ্যাস সিলিণ্ডার ব্যবসায়ী কাউসার, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আলিফ লায়লা ও তার পরিবারের সদস্যসহ অন্তত ১২ জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নামধারী কাজী ইসলাম বাহিনীর বিরুদ্ধে।

দোকানে হামলা চালিয়ে লুট করা হয়েছে নগত ৩ লাখ টাকা ও গ্যাস সিলিণ্ডারের বোতলসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল।  রবিবার (২ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় ৩ দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনজীবী আলিফ লায়লা বাদী হয়ে কাজী ইসলামকে প্রধান করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আহতরা হলো, দোকান মালিক কাউসার (৩৩), তার বড় ভাই আনিসুর রহমান(৫২), সেজু ভাই ফেরদৌস(৪৫), মো. হিজবুল্লাহ(৩৯), বোন আলিফ লায়লা(৩৬), ভাতিজা আশিক(৩০), নিবির(২৩) ও দোকান কর্মচারী সিফাত (২০)। আহত অন্যরা হলেন ভূক্তভোগী পরিবারের নারী। গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।   

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত কাজী ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ একটি দল রোববার সকালে সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় বাদীর ছোট ভাই মো. কাউসারের গ্যাস সিলিণ্ডার দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় কাউসার ও তার ভাতিজা আশিককে মারধর করে। 

বিকেলের মধ্যে দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে বিকেলে আবার দোকানে গিয়ে চাঁদা না পেয়ে  কাউসারকে মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে কাউসারের বড় ভাই আনিসুর রহমান, সেজু ভাই ফেরদৌস, মো. হিজবুল্লাহ, বোন আলিফ লায়লা ও ভাতিজা নিবির ছুটে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর করে। 

ইফতারের পর আবার কাজী ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র দা, ছুরি, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে কাউসারের দোকানে হামলা চালিয়ে নগত ৩ লাখ টাকা ও গ্যাস সিলিণ্ডারের বোতলসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে। পরে হামলা চালায় ভূক্তভোগীদের বাড়িতে। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ২ জন গুরুতরসহ ১২ জনকে আহত করে। এসময় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তখন এলাকার লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়।

 জানতে চাইলে কাজী ইসলাম বলেন, মসজিদের জায়াগা জবরদস্তি করে তারা দোকান নির্মাণ করেছে। আমি মসজিদ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা। মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে আমরা সে দোকানটি ভেঙ্গে দেই।  চাঁদা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।