নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকনের নেতৃত্বে মিষ্টি বিতরণ ও শত শত নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বেশ উৎফুল্ল দেখা যায়। একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেয়া ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৮নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ভাঙ্গারপুল এলাকায় এ মিষ্টি বিতরণ করে পরে শিমরাইল-চাষাঢ়া সড়কে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এসময় মিছিলে ডাক-ঢোল ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি ভাঙ্গার পুল থেকে শুরু হয়ে পাঠানটুলি স্ট্যান্ডে গিয়ে পথসভা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাপ্ত করা হয়। এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। ফ্যাস্টিস আওয়ামী সরকারের আমলে মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছি। হামলা-মামলার শিকার হয়েছি।
৫ আগস্টের পর গিয়াস উদ্দিনের ইন্দনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি মনে করি গিয়াস উদ্দিন গংদের কাছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নিরাপদ নয়। কারণ তিনি জাতীয় পাটি ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে বিএনপিতে ঢুকেছেন।
সরকার বিরোধী আন্দোলনের ১০ বছর তিনি নিস্ক্রীয় ছিলেন। পরে হঠাৎ সক্রীয় হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এই ধরনের সুবিধাবাদী লোক দলের পরিক্ষিত নেতা হতে পারে না।
এসময় নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আগামীতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে আরও গতিশীল করার প্রতিজ্ঞা করেন।
প্রসঙ্গত: মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হবে।
গত বছর ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সম্মেলনের পর দুইজনকে দিয়েই জেলা কমিটির কার্যক্রম চলে। কিন্তু দেড় বছরেও পুর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এই জন্য দুইজনের সাংগঠনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন নেতাকর্মীরা।
তাছাড়া ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর এই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ তদন্তে একটা কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হল।