নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এসময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে মারধর ও লাঞ্ছিত করায় ইকবালকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান রিজভী।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে আসিয়ান পরিবহনের একটি বাসে চালকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় ইকবালের। পরবর্তীতে বাসটি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় আসলে ইকবাল ও তার ক্যাডার বাহিনী বাস চালককে মারধর ও বাসে ভাংচুর চালায়। এসময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিক মিনহাজ আমান বাস ভাঙার প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন ইকবালের অনুসারীরা।
এদিকে ইকবালকে প্রেরিত বহিষ্কারাদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, মিনহাজ আমান নামে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে আপনি আপনার দলবল নিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত এবং লাঞ্ছিত করেছেন- যা সম্পূর্ণরূপে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ঘৃন্য অপরাধ।
এ ধরনের গুরুত্ব কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে সামরিক বহিষ্কার করা হলো।
অপরদিকে ইকাবালের বহিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্টে হাসিনা সরকারের পতনের পর ইকবাল মুর্তিমান আতংকে রূপ নেয়। তার বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলতে সাহস পেতনা। ইকবাল তার ভগ্নিপতি ও স্বজনদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে এলাকাবাসী।
বিশেষ করে নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যুতা, দখল বানিজ্য একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ইকবাল ও তার স্বজনরা। তার এসব অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি এলাকায় বেশ কয়েকটি কিশোরগ্যাং থেকে শুরু সন্ত্রাসী বহিনী গড়ে তুলেন।
এসব নিয়ে এলাকায় একাধিক হামলার ঘটনা ঘটলেও ইকবাল ও তার লোকদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে কেউ কোনো সাহস পায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ আওয়ামী লীগের শাসনামলেও ইকবাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন মিয়ার ছত্রছায়ায় এসব অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকান্ডে মেতে ছিলেন।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও নাসিকের সাবেক মেয়র ডা : সেলিনা হায়াত আইভীর সাথে সখ্যতা রেখে পরপর দুই বার কাউন্সিল নির্বাচিত হয়। আইভীর ছত্রছায়ায় থাকার কারণে তাকে আওয়ামী লীগের রোষানলে তেমন একটা পড়তে হয়নি।