নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

বুধবার,

০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের নীরবতায় সক্রিয় হয়ে উঠছে পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী

নারায়ণগঞ্জ টাইমস:

প্রকাশিত:২১:৫৩, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের নীরবতায় সক্রিয় হয়ে উঠছে পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী

সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহতে ঘটনায় প্রায় তিন ডজনেরও বেশী হত্যা মামলার আসামি মাদক সম্রাট দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাং এর গডফাদার পানি আক্তার ও তার সহযোগীরা পুলিশের নিরব ভুমিকায় দিন দিন সক্রিয় হয়ে উঠছে।

 এ নিয়ে নাসিক ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার সাধারণ মানুষ আতংকে দিনাতিপাত করছেন।  তারা বলছেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের নিরব ভুমিকায় ওই সন্ত্রাসীরা বেপোরোয়া হয়ে উঠছে। 

সম্প্রতি ওই মহলের সহায়তায় আদমজী বিহারী ক্যাম্প থেকে দেড় শতাধিক লোক অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ প্লাটফর্মের নামে শাহবাগে গণজমায়েতের উদ্দেশ্যে গেলেও  সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মামুন বিষয়টি অস্বীকার করায় বিষ্ময় প্রকাশ করে সচেতন মহল।  

জানাযায়, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামী ওসমসান পালিয়ে যাওয়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি আত্মগোপনে চলে যায়।

তারপর থেকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা সকলেই গা ঢাকা দেয়ে। কিছু দিন পর ধীরে ধীরে সোচ্চার হতে থাকে যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির অন্যতম সহযোগী পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহীনি।

 তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা কর্মীদের সথে আতাত করে আইলপাড়া এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠে। বর্তমনে তারা পানি আক্তারের বিভিন্ন ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে বলে একটি সূত্র জানায়।

তাদের মধ্যে রয়েছে মাছুম, হায়দার মাহাজন,  স্বপন,  সালমান, জুম্মন, সুনু, রাসেল, শওকত, রমজান, বাট্টু, গালিব, জসিম, ভুলা মেম্বারসহ আরো অকেই রয়েছে এই সাড়িতে। তারা মাদকসহ বিভিন্ন সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছে। 

এর মধ্যে মাসুম নিয়ন্ত্রন করছে পানি আক্তারের ইপিজেড এর ৪টি কারখানা তার মধ্যে রয়েছে মারুইশা, ইউনেস্কো, ডায়মন্ড, ঊর্মি এই ব্যবসার মোট অংকের একটি ভাগ যাচ্ছে বিএনপির নেতাদের পকেটে আর বাকি অংশ যাচ্ছে পানি আক্তরের কাছে। 

সালমান পানি আক্তারের অর্থ যোগান দাতা। জুম্মন, সুনু, রাসেল, রমজান, ভুলা মেম্বার এরা পানি আক্তারের মাদক নিয়ন্ত্র করছে। 

বর্তমানে বিহারী ক্যম্পের নামধারী বিএনপি নেতা আকরাম, শামীম ও কাদির এই তিন জন বিহারী ক্যাম্প বালুর মাঠ কাঁচাবাজার নিয়ন্ত্রন ও মাদক কারবারিদের কাজ থেকে মাসোহারা নিয়ে তাদেরকে নিরাপদে মাদক বিক্রি করার সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনকে ব্যহত করতে যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির সাথে পানি আক্তারসহ তার সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে লাঠি সোটা আগ্নে অস্ত্র দিয়ে প্রতিহত করতে চেষ্টা চালায়। 

আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকায় ফের পানি আক্তারের সন্ত্রাসী বাহিনী ফিরে আসায় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতংক। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এলাকায় এসব অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। 

গত (২৫ নভেম্বর) সোমবার সকালে নাসিক ৬নং ওয়ার্ড আদমজী বিহারী ক্যাম্প এলাকা থেকে মাদকের ডিলার খাটিয়া গুড্ডু, আনার, হায়দার, রনি, বালুর মাঠ থেকে আজগর, শাহাজাদা ভুলা মেম্বার, নিয়জ, এদের নেতৃতে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ প্লাটফর্মের নামে সাধারণ মানুষকে শাহবাগে গণজমায়েতের উদ্দেশ্যে ৩টি বাসে করে অন্তত ১৫০ জন বিহারী ক্যাম্পের সহজ সরল মানুষদের ভুল বুঝিয়ে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে বলে তাদের কাজ থেকে ৩০০ টাকা করে নিয়ে ঢাকার রাজু ভাস্কর্যে জড়ো করে।

এ বিষয়ে খাটিয়া গুড্ডুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নদীর ওইপার থেকে কয়েক জন মহিলা এসেছিল তারা আমাদেরকে বলেছে ঢাকা গেলে ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে তখন আমাদের বিহারী ক্যাম্প থেকে প্রায় ১৩০ জনের মত লোক ঢাকা গিয়েছে।

আরজু ও ইরফান নামে দুই বিহারী জানায়, বিহারী ক্যাম্প থেকে ৩টি বাসে করে প্রায় ১৫০ জন লোক নিয়ে তাদেরকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাজ থেকে ৩০০ টাকা করে নিয়ে ঢাকায় যায়। 

তবে এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আল মামুন বলেন, আদমজী বিহারী ক্যাম্প থেকে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ প্লাটফর্মের নামে শাহবাগে গণজমায়েতের উদ্দেশ্যে ৩টি বাসে লোক নিয়ে যাওয়ার বিষটি সত্য নয়।

আইনশৃংখলা বাহিনী র‌্যাব, পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে স্থানীয়দের দাবি দ্রুত মাদক সম্রাট, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাং’র গডফাদার পানি আক্তার ও তার বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হউক যাতে আর কেউই এরকম অপরাধ কর্মকান্ডে জড়াতে সাহস না পায়।