সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক তিন নং ওয়ার্ডের মাদানীনগর এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্য রাতে মো. রাব্বি নামে ১০ বছরের এক শিশুকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা বেধেঁ অমানুষিক মারধর করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচা বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হলেন- মো. আম্মি (৩৮), রেজাউল (৩৯) পিতা মৃত হাবিব ও মো. সাইদুল ইসলাম (৪১)।
শিশু রাব্বির চাচা মো. আল- আমিন বলেন, আমার বাড়িওয়ালা আম্মির ঘরে গত ৪ নভেম্বর তারিখে চুরির ঘটনার অপবাদ দিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ১ টার সময় ওই তিন ব্যক্তি আমার বাসায় এসে আমার ভাতিজা শিশু রাব্বিক ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় তাদের ঘরে।
এ সময় রাব্বিকে ঘরের মধ্য হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে এবং আমাকে এবং আমার মাকে তারা বের করে দেয়। রাতভর চলে রাব্বির উপর শারীরিক নির্যাতন। শিশু রাব্বি বার বার বলছিল আমি চুরি করিনি।
কিন্তু তারা কোন কথাই শুনেনি। মারধরে শিশু রাব্বি জ্ঞান হারায়। পরে জ্ঞান ফেরার পরে তাকে বলে তুই চুরি করেছিস তিন ভরি স্বর্ণালংকার এ কথা স্বীকার করলে তোকে আর মারবনা এবং ছেড়ে দেব।
মারধরে শিশু রাব্বি ভয়ে তাদের শেখানে কথামতো স্বীকার করে এ সময় তারা তা মোবাইলে রেকর্ড করে শিশু রাব্বিকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশু রাব্বিকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
রাব্বির চাচা মো. আল আমিন আরও বলেন, এর আগে শনিবার সকালে অভিযুক্ত রেজাউল আমার কাছে এসে বলেন ৫ লাখ টাকা দিয়ে দাও আমি ঝামেলা মিটিয়ে দেই। আল আমিন বলেন, আমরা গরীব মানুয়। আমি এলাকায় লন্ড্রী ব্যবসা করি।
আমার ভাতিজা চুরি করেনি একাধিকবার বলল হাতে পায়ে ধরেছে আমিও তাদের হাতে পায়ে ধরেছি মিথ্যা অপবাদ না দেওয়ার জন্য এবং রাব্বিকে মারধর না করার জন্য কিন্তু মানুষরুপী পশুদের মন গলাতে পারিনি।
এদিকে শিশু রাব্বিকে মিথ্যা চুরির অভিযোগে রাতভর মারধর করে শরীরে নীলাফুলা জখম দেখে এলাকাবাসী ধিক্কার জানান আম্মি, রেজাউল ও সাইদুলকে। তারা অবিলম্ভে শিশু রাব্বি নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ আজকে দিয়েছে আমি এখনে হাতে পাইনি। তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।