আওয়ামীলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে আনন্দ র্যালিতে অংশ নিয়েছে মিজমিজি এলাকার আলোচিত দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী টেনশন গ্রুপ ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের সদস্যরা। রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি আব্দুল আলী পুল এলাকায় আওয়ামীলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শফিকুল ইসলাম শফিকের নেতৃত্বে র্যালী বের করা হয়। র্যালীর অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিক ও তার দুই ছেলে কিশোরগ্যাং টেনশন গ্রুপের প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের লিডার সাকিবুল ইসলাম সারিব। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সর্বত্র। আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। অন্যদিকে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা বলছেন কোন কিশোরগ্যাংকে আওয়ামীলীগ প্রশ্রয় দেয় না। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন।
এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে আলোচিত তিনটি কিশোরগ্যাং গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপ তিনটি হলো-টেনশন গ্রুপ, ডেবিল এক্সো গ্রুপ ও মাফিয়া গ্রুপ। এরমধ্যে আলোচিত হচ্ছে টেনশন গ্রুপ। এই গ্রুপের লিডার হচ্ছে উঠতি বয়সী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাইসুল ইসলাম সীমান্ত। এছাড়া ডেভিল এক্সো গ্রুপের লিডার সাকিবুল ইসলাম সারিব ও মাফিয়া গ্রুপের লিডার তাহসিন ইসলাম সিমন। মজার বিষয় হলো এই তিন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী গ্রুপের লিডাররা মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের তিন ছেলে। শফিকুল ইসলাম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বতর্মানে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ান। যদিও তার কোন পদ-পদবী নেই স্বেচ্ছাসেবকলীগে। এলাকায় আধিপত্য ও নিজের অবস্থান মজবুত রাখতে তিন ছেলেদেরকে দিয়ে তিনটি কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কখনো কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে অর্থের যোগান দিয়ে শফিকুল ইসলাম তাদের জামিনে বের করে আনেন এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে শফিকুল ইসলাম এলাকায় নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিরক্ত সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারা বলেন, কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের তৎপরতায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনসহ এমন কোন অপকর্ম নাই যা এই এই কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা করে না। এছাড়া তাদের বখাটেপনার কারণে এলাকার স্কুল-কলেজগামী মেয়েরা নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পায়। কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় হোন্ডা মহড়া দেয় এলাকার পাড়া মহল্লায়।
আরও পড়ুন:সিদ্ধিরগঞ্জে যে কারণে তিনটি কিশোরগ্যাং গ্রুপ গড়ে তুলেছে শফিকুল