
রূপগঞ্জে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে লামিয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে লামিয়ার স্বামী ও শাশুড়িকে আসামী করে থানায় আত্মহত্যার পরোচনায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় স্বামী মো. শাওন (২২) ও শ্বাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে (৫৫) গ্রেফতার করে রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের রূপসী কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার জানা যায়, গত ৪ বছর আগে তারাব পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের রূপসী কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেনের মেয়ে লামিয়া আক্তার ও প্রতিবেশি তারা মিয়ার ছেলে শাওনের পারিবারিক ভাবে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনের আরিয়ান নামে ২ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লামিয়ার স্বামী শাওন ও শাশুড়ি ফাতেমা বেগম লামিয়াকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। গতকাল শনিবারও স্বামী ও শাশুড়ি মিলে লামিয়ার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং আত্মহত্যার পরোচনা দেয়।
একপর্যায়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্বামীর বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয় লামিয়া। পরে মেয়ের জামাই ও শাশুড়ি মিলে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন মেয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মেয়ের গলায় ও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে পুলিশে খবর দিলে লামিয়ার স্বামী ও শাশুড়ি কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন নিহতের পরিবার।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এবং নিহতের বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার পরোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করলে ওই মামলার নামীয় আসামী নিহতের স্বামী শাওন ও শাশুড়ি ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।