রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আর কে ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে উল্টো ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাসহ নিরীহদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর লুটপাট এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলার মাঠের ঘাট রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, আর কে ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, প্রধান শিক্ষক শারমিন রোকসানাসহ আরো অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে আর কে ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির অভিযোগ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে খাদুন এলাকার তানভীর আহমেদ মিলনসহ ৩০/৩৪ জন সন্ত্রাসী ধারালো ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসজ্জিত হয়ে আর কে ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্রবেশ করে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এই সময় ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জাপান প্রবাসী রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবরোদ্ধ করে ফেলে। এক পর্যায়ে রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। হামলা ভাংচুর ও লুটপাটে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
পরে ৯৯৯ নম্বরে কল করে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় তারা অবরুদ্ধ থেকে উদ্ধার হন। পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আবারও তাদের বসতবাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায়।
এ ঘটনায় হামলাকারী তানভীর আহমেদ মিলন উল্টো আর কে ভূঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির ও প্রতিষ্ঠাতা রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনসহ নিরীহদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট এবং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জাপান প্রবাসী রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনকে হত্যার চেষ্টাকারী তানভীর আহমেদ মিলনসহ সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেন।
তবে, এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তানভীর আহমেদ মিলন স্কুলে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, রায়হান কবির ভূঁইয়া সুমনসহ তার লোকজন আমার জমি দখল করতে বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর করেছে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, এই ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।