বৈরী আবহাওয়া ও শীতের দাপট কিছুটা কমায় বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা বাড়ার আশায় ব্যবসায়ী। বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা বাড়ার আশায় ব্যবসায়ীরা।
মেলা উদ্বোধনের পাঁচ দিন হতে চললেও এখনো ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সমাগম কম। মেলার তৃতীয় দিন শুক্রবার ছুটির দিনেই সর্বোচ্চসংখ্যক ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছিল।
মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দর্শনার্থীরা আসছেন। মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন। টুকটাক কিছু কেনাকাটাও করছেন অনেকে। এদিকে মেলার পঞ্চম দিন চললেও মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্রেতার সংখ্যা কম লক্ষ্য করা গেছে । বেশির ভাগই আসছেন ঘুরতে ও ফটো সেশন করতে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পূর্বাচলে স্থায়ী কমপ্লেক্সে বাণিজ্য মেলার ২৯ তম আসরে বৈরী আবহাওয়া শীতের প্রভাবে মেলা কতটা জমবে তা নিয়ে কিছুটা আশঙ্কা তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল। তবে বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মেলা নিয়ে আবার আসা জেগেছে।
আবহাওয়া ভালো থাকলে মেলা জমে উঠবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সাধারণত মেলা জমে ছুটির দিনগুলোতে। আশা করছি, আগামী শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনগুলোতে মেলা আরোও জমবে।
জানা গেছে, গত বছর ২০২৪ এ বাণিজ্য মেলার শুরুর প্রথম ৩ দিনে টিকিটের মাধ্যমে ৩ হাজার দর্শনার্থী মেলায় প্রবেশ করেছেন। এবার ২০২৫ এ প্রথম দিন ১১ হাজার ৭৪৩ প্রবেশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সঙ্গত কারণেই গত বছরের তুলনায় এবার ব্যবসা সফল মেলা হবে বলে মনে করছেন আয়োজক ও ব্যবসায়ীরা।
তবে এখন ঘুরে ঘুরে পণ্য দেখলেও খুব শিগগিরই পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে মনে করেন তাঁরা। পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুকূলে থাকায় এবার বেশি লাভের আশা ব্যবসায়ীদের।
মেলার কথা হয় রাজধানীর ডেমরা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা জোবায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুনেছি মেলা এবার বর্ণিল সাজে সেজেছে তাই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম। প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিসপত্র দেখেছি তবে এগুলো এখন কিনবো না মেলা শেষের দিকে যখন ছাড় চলবে তখন কিনব।
মিরপুরের বাসিন্দা হাকিম আলী বলেন, আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলা জমজমাট হতো। বিগত বছরগুলোতে এখানে সেভাবে মেলা জমেনি। তবে এবার যাতায়াতের সুবিধা ও যানজটমুক্ত হওয়ায় জমবে বলে আশা করছি।
জিতু টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপক জিতু কবির বলেন, কেনাবেচা ভালো না হলে আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে ব্যবসায়ীদের ।
নাভানা ফার্নিচারের বিক্রয় প্রতিনিধি আরিফুল আলম বলেন, গত বছর তেমন সুবিধা করতে পারিনি। আবহাওয়ার কারণে এখনও ক্রেতা সমাগম কম। গত দুইদিন কিছুটা বেচাকেনা হয়েছিল। আজ এখনও তেমন বেচা -বিক্রি হয়নি।
টিকিটের ইজারাদারের ডিজি ইনফোটেক লিমিটেডের (হেড অব অপারেশন) এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, মেলা শুরুর পর তৃতীয় ও চতুর্থ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা দর্শনার্থীর সমাগম একটু বেশি ছিল।
শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট কেটে ২৭ হাজার ৩৭২ জন এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২২ হাজার ১৩৪ জন দর্শনার্থী মেলায় প্রবেশ করেছেন। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে ক্রেতা দর্শনার্থী আরো বাড়বে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মেলার সার্বিক পরিস্থিতি খুবই ভালো। আশা করছি সামনের দিকে ক্রেতার সমাগম বাড়বে।